২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনা নির্মূলের ওষুধ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:২৩ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৩১ PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা দাবি করেছেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনাভাইরাস নির্মূল করার ওষুধ পেয়েছেন তারা। ওই ওষুধের নাম মলনুপিরাভির। এমনকি এই ওষুধ খেলে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসলেও করোনার সংক্রমণ হবে না বলেও দাবি তাদের। খবর- সংবাদ প্রতিদিনের
গবেষকদের দাবি, ইনফ্লুয়েঞ্জায় ব্যবহৃত ‘ব্রড স্পেকট্রাম অ্যান্টিভাইরাল’ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করে এই সাফল্য পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেসের একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণা করেন।
সম্প্রতি ‘নেচার মাইক্রোবায়োলজি’ জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা দলের প্রধান ডা. রিচার্ড প্লেম্পার জানান, এ পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় যতগুলো ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে তার মধ্যে এটাই সেরা। করোনা মোকাবিলায় এটি গেমচেঞ্জার হয়ে উঠবে।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেরেটের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল এই ওষুধ। দেখা গেছে, ইঁদুরের মতো দেখতে জন্তুগুলো সুপার স্প্রেডার’ হওয়া সত্ত্বেও করোনা ছড়াতে পারছে না। ২৪ ঘণ্টাতেই করোনার সংক্রমণ আটকে দিচ্ছে এই ওষুধটি।
মার্কিন গবেষকদের দাবি, এই ড্রাগ ‘স্পেন্টেনিয়াস টটোমেরিক ইন্টারকনভার্সন’ করে ভাইরাসের আরএনএ’র সাইটোসিন বা ইউরাসিলের সঙ্গে জুড়ে যায়। এবং আরএনএ’র মিউটেশন করায়। যাতে ‘ভাইরাল এরর ক্যাটাস্ট্রফি’ তৈরি হয়। ফলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ভাইরাস তৈরি হতে পারে না।
তাদের মতে, যতদিন না সাধারণ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন সহজলভ্য হচ্ছে ততোদিন এই ওষুধকেই করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ব্যবহারে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। দেহের অভ্যন্তরেও নতুন করে আর বংশবিস্তার করতে পারবে না এই ভাইরাস।
ওষুধটির ব্যবহার সম্পর্কে সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, দিনে দুইটি করে খেতে হবে ওষুধ। তাতেই আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনাভাইরাস চলে যাবে। আর যাঁরা পজিটিভ রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরাও নেগেটিভ থাকবেন এই ওষুধ খেলে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আপাতত পশুদের মধ্যে এই ওষুধের পরীক্ষা শেষ করে এখন মানুষদের মধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষার প্রথম পর্যায় শেষ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা বেশ জোরেশোরেই চলছে। তবে তার ফলাফল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।