করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ড. বিজন শীলের চার পরামর্শ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৭ AM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৭ AM
অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এরই মধ্যে দেশে খুব পরিচিত লাভ করেন। মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় দেশের গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। করোনা মোকাবেলায় আমাদের কি কি করা উচিত এবং কেনই বা আমাদের সেটা মেনে চলা উচিত, সে বিষয়ে জেনে নিন তার চারটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
১. যেকোনো ধরনের গলা খুশ খুশ বা কাশি দেখা দিলেই কালবিলম্ব না করে আদা (জিঞ্জার) ও লবঙ্গ (ক্লোব) একসঙ্গে পিষে সেটাকে গরম পানিতে সিদ্ধ করে কিছুটা চা দিয়ে এক কাপ পরিমাণ বানিয়ে গারগল করে পান করুন দিনে অন্তত তিন-চারবার। এই পানীয় গলার ভেতরের কোষগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শক্তিশালী করবে। যা কোষগুলোর ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষগুলো কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবে। যাদের গলা খুশ খুশ করে না বা কোনও কাশি দেখা দেয়নি, তাদেরও ইমিউনিটি বাড়াতে নিয়মিত দিনে দুইবার অন্তত দু’কাপ এ পানীয় পান করুন।
২. গরম পানিতে নিম পাতার রস মিশিয়ে গারগল করে পান করুন। তবে নিমপাতা একটু পানি দিয়ে পিষতে হবে। পেষার ফলে যে সবুজ রঙের রসটি বের হবে, সেটার সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। করোনার তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে গলায় আক্রমণ করে। অর্থাৎ গলায় খুশ খুশ কাশি হবে। দ্বিতীয় স্টেজে এটা ফুসফুসের ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে চলে যায়। তৃতীয় বা শেষ স্টেজ হচ্ছে ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে পানি জমানো। তখন রোগী মৃত্যুর মুখে চলে যায়। তাই করোনাকে প্রথম স্টেজেই অর্থাৎ গলা খুশ খুশ অবস্থাতেই দমন করতে হবে। আর সেজন্য আদা-লবঙ্গ-চা থেরাপি এবং নিমপাতা থেরাপি অনেক কার্যকর।
৩. ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কিছুটা জিংক সহযোগে একগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। কারণ জিঙ্ক ভাইরাসের ‘আর ডি ডি’কে ব্লক করে দেয়।
৪. কফ, থুতু, প্রস্রাব ও পায়খানার মাধ্যমে করোনা বা কোভিড-১৯ ছড়ায় বেশি। তাই আমাদের বাসা বা অফিসের কমোড, প্যান ও বেসিন পরিষ্কার রাখা উচিত। এই ভাইরাস যেমন শরীরের অ্যালভিয়োলিতে চলে যায়, তেমনি অন্ত্রনালিতেও যায়। আর অন্ত্রনালিতে গেলে রোগীর ডায়রিয়া হয়। তখন মলের সঙ্গে এ ভাইরাস টয়লেটে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই এগুলো পরিষ্কার রাখা জরুরি।
করোনা ভাইরাসের কাছে যেখানে ইউরোপ আমেরিকার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরাজিত হয়েছে, সেখানে আমাদের হাসপাতাল বা চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে করোনাকে মোকাবিলা করা কঠিন। বরং এসব পূর্ব সাবধানতার মাধ্যমে নিজেকে রক্ষার পথ বেছে নেয়া উচিত।