একনেকে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্পের অনুমোদন

একনেক সভা
একনেক সভা  © সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে হাওর ও খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল জীবনমান গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ (সিআরএলইপি) অনুমোদন পায়নি। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প তিনটি, সংশোধিত প্রকল্প সাতটি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রকল্প তিনটি।

জানা গেছে, পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় ৩৩৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৫৮টি বাজার পুনর্বাসন, ৩৪টি ঘাট নির্মাণ, ৭২টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৪৮০টি শৌচাগার ও ৭২০টি নলকূপ স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল। এছাড়া ৪০ হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ ও ২০ হাজার যুবককে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তবে পরিকল্পনা কমিশনের মূল্যায়নে দেখা যায়, প্রকল্পের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ ব্যয় হবে সড়ক, ঘাট, বাজার ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে। অর্থাৎ, প্রকল্পের নামের সঙ্গে বাস্তব কার্যক্রমের সাযুজ্য নেই। কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ আগে থেকেই জীবিকা ও প্রশিক্ষণ উপাদান বাড়ানোর পরামর্শ দিলেও তা চূড়ান্ত প্রস্তাবে প্রতিফলিত হয়নি। ফলে পরিবেশ উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে একনেক সভা থেকে প্রকল্পটি ফেরত পাঠানো হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি, পল্লী অবকাঠামো, সড়ক, রেল, স্বাস্থ্য, শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতের উদ্যোগ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো, কক্সবাজারে কৃষি খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা টেকসইকরণ প্রকল্প, খুলনা বিভাগের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরীণ সড়ক ও ফুটপাত উন্নয়ন, উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্প, ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণ, কিশোরগঞ্জ থেকে পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক সড়ক উন্নয়ন, বিএসটিআই’র পরীক্ষাগার সম্প্রসারণ, ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট পুনঃশক্তিকরণ, পাবনার মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইনস্টিটিউটে রূপান্তর এবং রেলওয়ের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।


সর্বশেষ সংবাদ