২০৩০ সালের মধ্যে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © অফিসিয়াল ছবি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইর্য়কের সদরদপ্তরে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল কোঅপারেশন: অ্যাকশন টুডে ফর ফিউচার জেনারেশন’ শীর্ষক হাই-লেভেল ভার্চ্যুয়াল ইভেন্টে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বে ডিজিটাল সেবার শক্তি কতটা তা কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সব মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল একাডেমি ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল সেবার শক্তি প্রকাশ করেছে, একই সঙ্গে বিশ্বে ডিজিটাল বৈষম্য উন্মোচন করেছে। বিশ্বের অর্ধেক মানুষই মৌলিক ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারছে না। আমাদের অবশ্যই এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকাশ সহজতর করা, নারীর ক্ষমতায়নসহ সমাজ পরিবর্তন করা আমাদের লক্ষ্য। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করবে।

২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আমাদের তরুণদের দিন বদলের এই যাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে চাই।

ডিজিটাল‍াইজেশনে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে চেঞ্জ মেকার হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে।

শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে আছি।


সর্বশেষ সংবাদ