বৈমানিক হতে চাইলে যেভাবে উড়াতে হবে প্রস্তুতির ঘুড়ি
- খাঁন মুহাম্মদ মামুন
- প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৫ AM , আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৯ PM
দিগন্তজোড়া আকাশ পানে উড়ে বেড়ানোই যদি পেশা হয়—তাহলে একজন স্বাপ্নিক তরুণের জন্য তার চেয়ে ভালো কোনো বিকল্প বোধহয় আর হতে পারে না। দেশের প্রচলিত শিক্ষাস্তরে বর্তমানে মাধ্যমিকেই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায় একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ পেশা। সদ্য প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনো একজন কিশোরের কাছে তখন কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারই কাঙ্ক্ষিত পেশা। তখন হয়ত সদ্য শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পদার্পণ করা একজন শিক্ষার্থীদের কাছে এর থেকে আরও কোনো ভালো বিকল্প বলার সুযোগও থাকে না খুব বেশি।
কিন্তু এর মাঝেও কেউ কেউ তো স্বপ্ন দেখে কেবলই দিগন্তপানে উড়ে বেড়ানো পাখির সাথে আকাশে উড়ে বেড়ানোর; অসীম অন্তরীক্ষে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার, কিংবা সীমানার বেড়াজালে আবদ্ধ না হওয়ার। এমন স্বপ্নবাজরাই বেছে নেন বৈমানিক পেশা। বর্তমানে দেশের প্রচলিত শিক্ষা কাঠামোয় বৈমানিক বা পাইলট হতে চাইলে প্রশিক্ষণ বা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু করতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পরপরই। তবে সুযোগ থাকে উচ্চশিক্ষার চলাকালীন অথবা উচ্চশিক্ষাস্তর শেষ করার পরও।
বৈমানিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকতে হবে। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা এবং কাজ। বৈমানিক হতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হয়। এখানে লাইসেন্স পেতে সময় হিসেব করে উড়তে হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিটি মূহুর্তই একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা হিসেবে গন্য হয়—হাসান আল জুবায়ের রনি, ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টর, গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি।
বাংলাদেশে সামরিক ও বেসামরিক খাতে পেশাদার বৈমানিক হিসেবে নিজের ভবিষ্যত কর্মক্ষেত্রে সাজানোর সুযোগ রয়েছে শিক্ষার্থী বা এ খাতে আগ্রহীদের। দেশের সামরিক খাতে বৈমানিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীতে। আর বেসামরিক খাতে কাজের সুযোগ থাকে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানির বৈমানিক হিসেবে।
দেশের বেসামরিক খাতের বিমান চলাচল এবং সংশ্লিষ্ট পেশাগত স্বীকৃতি প্রদান করে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)। বর্তমানে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ রয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সংশ্লিষ্ট কোর্স সম্পন্ন করে পেশাদার বৈমানিক হওয়ার।
পেশাদার বৈমানিক হিসেবে দেশে-বিদেশে কাজের সুযোগ রয়েছে সামরিক বাহিনীর হয়েও
দেশের প্রচলিত শিক্ষা কাঠামোয় বৈমানিক হতে হলে শিক্ষার্থীদের সম্পন্ন করতে হয় প্রাথমিক কিছু কোর্স। তবে কোর্সে শর্ত থাকে শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা হতে হবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এছাড়াও বর্তমানে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান গণিতসহ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট শর্ত যুক্ত করে শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে।
বয়সসীমার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বনিম্ন ১৬ এবং উচ্চশিক্ষায় অর্থাৎ স্নাতকের শিক্ষার্থীরাও চাইলে ভর্তি হতে পারবেন এসব বেসিক কোর্সে। তবে অতীত পড়াশোনা থাকতে হবে বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। এছাড়াও ভালো শারীরিক গঠন ও ইংরেজি দক্ষতা দিগন্তের অগ্র-প্রান্তে আকাশে উড়ে বেড়ানোকে পেশা হিসেবে গ্রহণের সুযোগ শিক্ষার্থী বা প্রার্থীকে এগিয়ে রাখবে অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে।
বয়সসীমার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বনিম্ন ১৬ এবং স্নাতকের শিক্ষার্থীরাও চাইলে ভর্তি হতে পারবেন বেসিক কোর্সে। তবে অতীত পড়াশোনা থাকতে হবে বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। ভালো শারীরিক গঠন ও ইংরেজি দক্ষতা দিগন্তের অগ্র-প্রান্তে আকাশে উড়ে বেড়ানোকে পেশা হিসেবে গ্রহণের সুযোগ প্রার্থীকে এগিয়ে রাখবে।
বৈমানিক হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রমাণ দিতে হবে নিজের যোগ্যতা ও সক্ষমতার। বৈমানিক হওয়ার কোর্সটি করতে শিক্ষার্থী বা প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাডেমিতে দিতে হবে ভর্তি পরীক্ষা। চাইলেই সুযোগ নেই বৈমানিক হওয়ার কোর্সে ভর্তি হওয়ার।
সাধারণত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয় তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক এবং চূড়ান্ত বাছাইয়ের আগে দিতে হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও। তবে অতি সাম্প্রতিককালে শিক্ষার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে দেখা হয় কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত দক্ষতাও।
হাতে-কলমে শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য থাকে নানা থিওরিও
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা বৈমানিক কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুরু হয় তাদের মূল প্রশিক্ষণ। তিন ভাগে বিভক্ত এ শিক্ষা সূচিতে গ্রাউন্ড কোর্সের পর থাকে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স ও কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স সংক্রান্ত পাঠ্যক্রম। সাধারণত বছরের শুরুতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এবং জুলাই-আগস্টে দিকে ভর্তি নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। আর পুরো কোর্সটি শেষ করতে শিক্ষার্থীদের সময় লাগে সর্বোচ্চ তিন বছর।
গ্রাউন্ড কোর্সে শিক্ষার্থীরা শেখার সুযোগ পান বিমানের কারিগরি নানা দিকসহ এয়ার ল, এয়ারক্রাফট জেনারেল নলেজ, ফ্লাইট পারফরম্যান্স অ্যান্ড প্লানিং, হিউম্যান পারফরম্যান্স অ্যান্ড লিমিটেশন, ন্যাভিগেশন, অপারেশনাল প্রসিডিউর ও প্রিন্সিপাল অব ফ্লাইটসহ সংশ্লিষ্ট নানা থিওরি।
শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয় তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক এবং চূড়ান্ত বাছাইয়ের আগে দিতে হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও। সাম্প্রতিককালে শিক্ষার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে দেখা হয় কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত দক্ষতাও।
প্রার্থীদের এরপর সিভিল অ্যাভিয়েশনে স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। আবেদনের পর শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষা নেবে দেশের আকাশ যান নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি)। সিএএবি’র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই দেয়া হবে এসপিএল। অথরিটির এ লাইসেন্স দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ঘণ্টা বিমান চালনার অনুমতি মেলে। এরপরই পিপিএল বা প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
এ সময় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বিমান চালিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় প্রার্থীদের। এরপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুসারে মিলবে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স। যদিও এ লাইসেন্স দিয়ে চালানো যাবে না বাণিজ্যিক বিমান। বাণিজ্যিক বিমান চালানোর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে সিপিএল বা কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স। কমার্শিয়াল পাইলট লাইসে থাকলে হিসেবে যে কোনো এয়ারলাইন্সে চাকরি করা যাবে পেশাদার বৈমানিক হিসেবে। এ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রার্থীর উড়োজাহাজ চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ ঘণ্টার মতো।
বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি কাজের সুযোগ রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থায়ও
দেশে বৈমানিক বা পাইলট তৈরিতে কাজ করছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দেশের উড়ন্ত বাহনের তদারক সংস্থা বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমোদন সাপেক্ষে এসব কোর্সে পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে সিভিল অ্যাভিয়েশন একাডেমি ট্রেনিং সেন্টার, গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি, বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি অ্যান্ড ফ্লাইং অ্যাভিয়েশন লিমিটেডে শিক্ষার্থীরা বৈমানিক হওয়ার জন্য ভর্তির সুযোগ পান।
এছাড়াও দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে পরিচালিত হচ্ছে আরিরাং অ্যাভিয়েশন লিমিটেড নামে একটি কোরীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ রয়েছে দেশের বাইরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে দিগন্তে উড়ার স্বপ্ন পূরণের।
প্রশিক্ষণের পর প্রার্থীদের সিভিল অ্যাভিয়েশনে স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্সের আবেদনের পর সক্ষমতা যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই দেয়া হবে এসপিএল। অথরিটির এ লাইসেন্স দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ঘণ্টা বিমান চালনার অনুমতি মেলে। এরপরই পিপিএল বা প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
বড় স্বপ্নের পেছনে প্রার্থীকে পোড়াতে হবে অনেক কাঠ-খড়, অর্থাৎ বৈমানিক হতে হলে প্রার্থীদের খরচ করতে হবে মোটা অঙ্কের অর্থ। দেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা বৈমানিক হতে খরচ করতে হবে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা। অর্থের এ পরিমাণ নির্ভর করবে শিক্ষার্থী কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছেন—তার ওপর।
তবে খাত সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ, বৈমানিক হতে হলে আগে থেকেই হাতে রাখতে হবে পর্যাপ্ত অর্থ। সাধারণত শিক্ষার্থীদের কোর্স শেখ করার পর হাতে-কলমে শেখার ক্ষেত্রে করতে হয় রিয়েল টাইম ফ্লাইং। আর অভিজ্ঞতা অর্জনে আর্থিক সংস্থানে ধীরগতি দীর্ঘায়িত করে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠ সম্পন্ন করার সুযোগ।
স্বপ্নের ককপিটে বসার সুযোগ মেলে সকল একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করার পর
বৈশ্বিক বিমান পরিবহন তদারক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিবছর বৈমানিক নিয়োগ চাহিদা প্রায় ১৭ হাজার। দেশে বৈমানিক কোর্সে সম্পন্ন করার পর সামরিক ও বেসামরিক খাতে সুযোগ রয়েছে পেশাদার হিসেবে কাজ করার।
বর্তমানে দেশের পতাকাবাহী রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি ইউএস বাংলা, নভো এয়ার, রিজেন্টের মতো এয়ারলাইন্সগুলো প্রতিবছরই পেশাদার বৈমানিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট সব কোর্স আয়ত্ত করার পর সুযোগ রয়েছে দেশীয় সরকারি এবং বেসরকারি বিমান সংস্থায় কাজ করার।
বৈমানিক হিসেবে কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ে সাফল্য আসবে ক্যারিয়ারে
আর এসব প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বৈমানিকদের প্রাথমিক অবস্থায় ২ লাখের মতো বাংলাদেশি অর্থ বেতন হিসেবে প্রদান করে। এছাড়াও থাকে নিয়োগকৃত সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। পাশাপাশি অভিজ্ঞাতা বাড়ার পাশাপাশি বৈমানিকদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়তে থাকে সময়ের সাথে অগ্রসরতায়।
বৈমানিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকতে হবে জানিয়ে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টর হাসান আল জুবায়ের রনি বলছেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা এবং কাজ। বৈমানিক হতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা বা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হয়। এখানে লাইসেন্স পেতে সময় হিসেব করে উড়তে হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিটি মূহুর্তই একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা হিসেবে গণ্য হয়।
বর্তমানে দেশের ও দেশের বাইরের অ্যাভিয়েশন খাতে নতুন নতুন অনেক সুযোগ তৈরি হচ্ছে জানিয়ে এ বৈমানিক ও শিক্ষক বলছেন, আমাদের এখানে যে-সব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে তাদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ালে আমরা আরও বেশি বৈমানিক তৈরি করতে পারবো এবং তাদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে দেশে এবং বিদেশে সংশ্লিষ্ট খাতে যুক্ত করতে পারলে এ খাত থেকে আমাদের আরও বেশি আয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সরকারি উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের কম খরচে শেখানোর উদ্যোগ যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতে পারে—যুক্ত করেন তিনি।