বার্সেলোনা © সংগৃহীত
ম্যাচের ১৪ মিনিট পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এবারের এল ক্লাসিকো হয়তো একতরফা হতে চলেছে। কেননা, কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে লিড নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে কিছুক্ষণ পরই পাল্টে যায় পুরো দৃশপট। দুর্দান্তভাবে ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করে বার্সেলোনা।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ব্যবধান কমান এরিক গার্সিয়া। দুই মিনিট ব্যবধানে ম্যাজিক দেখিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে লিড নেয় কাতালানরা। বার্সাকে এগিয়ে নেন লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। ৩৪তম মিনিটে ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আর এই গোলের মধ্য দিয়েই নতুন এক ইতিহাস লিখে ফেলে এল ক্লাসিকো।
১০৩ বছর পর এবারই প্রথম এল ক্লাসিকোর প্রথম ৩৫ মিনিটের মধ্যে দেখা মেলে ৫ গোলের। এর আগে, ১৯২২ সালের ২১ মার্চ এমন কিছু দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। এরপর রাফিনিয়ার কল্যাণে বিরতির আগে ষষ্ঠ গোলের দেখাও পেয়ে যান লা লিগার সমর্থকরা।
আর ১২৩ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম কোন দল প্রথমার্ধে জোড়া লিড নিয়েও হারের শঙ্কা নিয়ে বিরতিতে যায়। যদিও বিরতি থেকে ফেরার পর হ্যাটট্রিক করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন এমবাপ্পে। তবে শেষমেশ ট্র্যাজিক হিরো বনে হার নিয়েই মাঠ ছাড়েন এই ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে লিগ শিরোপাও একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছে কাতালানদের। এ ছাড়া ইতিহাসে প্রথমবার এক মৌসুমে চার ক্লাসিকো জয়ের কীর্তি গড়লো তারা। ৩৫ রাউন্ড শেষে বার্সার লিড ৭ পয়েন্টের। বাকি তিন ম্যাচের যেকোনো একটিতে জয় পেলেই শিরোপা ঘরে তুলবে রাফিনিয়া-ইয়ামালরা।
এর আগে, মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল রিয়াল। এরপর সুপার কাপ ও কোপা দেল রে'র ফাইনালেও বিধস্ত হয় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এবারও একই পরিণতি হলো তাদের। এর আগে, ২০০৮ থেকে ২০১০ মৌসুমে বার্সার পেপ গার্দিওলার অধীনে টানা চার এল ক্লাসিকোয় হেরেছিল রিয়াল।