বিটরুট কি আসলেই সুপার ফুড, জেনে নিন একগুচ্ছ উপকারিতা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ AM , আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৬ PM
বিটরুট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী সবজি। এটি সালাদ, সেদ্ধ, জুস বা রান্না করেও খাওয়া যায়, তবে কাঁচা খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি মূলযুক্ত সবজি এবং দেখতে লালচে ধরনের হয়। বিটরুটের অধিক উপকারিতার জন্য এটাকে সুপার ফুডও বলা হয়ে থাকে। বিটরুটে রয়েছে নানা পুষ্টিকর উপাদান। এর মধ্যে ভিটামিন, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, বেটালেইন, ফাইবার (আঁশ) প্রভৃতি। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, রক্ত সঞ্চালন ও লাল রক্তকণিকা তৈরিসহ নানা উপকার করে থাকে। ডেইলি ক্যাম্পাসে আজকে এ নিয়ে আলোচনা করা হলো—
পুষ্টিকর উপাদানসমূহ
ভিটামিন C,B6, B9 (ফোলেট)
আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম
বেটালেইন (Betalains)
বেটাসায়ানিন (Betacyanin)
অ্যান্থোসায়ানিন (Anthocyanins)
নাইট্রেট (natural nitrate)
ফসসরাস ও ক্যালসিয়াম
গ্লুটামিন (Glutamine)
আঁশ (Fiber)
শর্করা (প্রাকৃতিক সুগার)
প্রোটিন (অল্প পরিমাণে)
বিটরুটের উপকারিতা
বিট আমাদের যকৃত থেকে ক্ষতিকর ও বিষাক্ত উপাদান সরিয়ে আমাদের যকৃতকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি যকৃত পরিষ্কারে সহায়তা করে। এতে এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর গাঢ় লাল-রঙ অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ থেকে আসে, যেটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসম্পন্ন। বিটরুটের নাইট্রেট রক্তনালিকে প্রসারিত করে, রক্ত প্রবাহ উন্নত করে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি বিট খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এটি পিত্তরসকে পাতলা করে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবারহ করে। বিটরুটে থাকা betalains নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বিটরুটের জুস শরীরে স্ট্যামিনা বাড়ায়। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিটরুতে রয়েছে অধিক পরিমান আয়রন যা রক্তের হিমগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।ফলে রক্তশূন্যতা কম হয়। বিটরুটে থাকা আঁশ হজমে সহায়তা করে। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণাতে দেখা গেছে বিটরুটে থাকা কিছু যৌগ ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। বিটরুট লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। বিটরুটের এত অধিক পরিমান উপকারিতা থাকায় একে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে।
প্রফেসর জোন্স পরামর্শ দিয়েছেন যে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি মাঝারি আকারের বিটরুট অথবা এক শট বিটরুট জুসই ইতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য যথেষ্ট। প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ১০ মিলি মোল নাইট্রেট গ্রহণ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও পরামর্শ দেন, দীর্ঘমেয়াদী উপকারের জন্য প্রতিদিন এবং প্রতি সপ্তাহে নিয়মিতভাবে নাইট্রেট গ্রহণ করা উচিত,যা বিটরুত থেকে পাওয়া যায়। সূত্র : বিবিসি নিউজ