আপাতত সন্দেহমুক্ত বুলবুলের ‘প্রেমিকা’

বুলবুল ও তার প্রেমিকা
বুলবুল ও তার প্রেমিকা  © টিডিসি ফটো

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথম থেকে সন্দেহের তালিকায় ছিলো তার প্রেমিকা। দুই জায়গায় দুইরকম বক্তব্য দেয়া, প্রথমে ঘটনাস্থলে ছিলোনা বলে অস্বীকার করলেও পরে আবার স্বীকার করা, রহস্যজনকভাবে হাতপাতাল থেকে চলে যাওয়া, কল লিস্ট মুছে পেলা এসব কারণে তাকে সন্দেহ করা হয়। হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তির সাথে ওই ছাত্রীর এখনও তেমন কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আপাতত  বুলবুলের প্রেমিকাকে সন্দেহমুক্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ওই ছাত্রীকে নিয়ে গতকাল প্রসাশন সংশ্লিষ্টরা ডেড স্পটে যায়। পরে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তার তার কাছ থেকে হত্যাকারীদের সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আজ গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ওই ছাত্রী সম্পর্কেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত বুলবুলের প্রেমিকা ও গ্রেফতারকৃদের মধ্য কোন সংশ্লিষ্টতা খুঁজে না পাওয়ায় আপতত তাকে সন্দেমুক্ত বলছে অনেকেই। 

এদিকে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সকালে তাদের পরিচয় প্রকাশ করে পুলিশ। জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্বার্শস্থ টিলারগাও এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও পুলিশ তাদেরকে পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানায়।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন কামরুল ইসলাম, আবুল হোসেন ও হাসান। কামরুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করেছি এবং আমরা কামরুলের বাসা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও বুলবুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন কামরুল। হত্যায় সরাসরি অংশ নেন তিনজন। এরপরই তাকে নিয়ে অভিযানে যাওয়া হয়। কামরুল ইসলাম পেশা রাজমিস্ত্রি বলে প্রচার আছে। তবে এর আড়ালে তিনি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

স্থানীয়রা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গাজীকালুর টিলা এলাকায় এর আগেও ছিনাতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এখানে প্রায় সময় ছিনতাইকারীদের আনাগোনা দেখা যায়। তাই অনেকেই মনে করছেন বুলবুলকে হত্যা করার জন্য গ্রেফতারকৃদের এখানে অন্য কেউ ডেকে নাও আনতে পারে। এটি একটি দুর্ঘটনাও হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বুলবুলের প্রেমিকাকে আপাতত সন্দেহমুক্ত বলে মনে করা হলেও তার পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। তার পরিবার এবং সহপাঠীরা বলেছেন এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বুলবুলের বড় বোন সোহগী আক্তার বলেন, স্বপ্ন ছিল বুলবুল বিসিএস ক্যাডার হবে।  নিম্নবিত্ত এই সংসারের হাল ধরবে। সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। 

সহপাঠী এবং পরিবারের দাবি অনুয়ায়ী বুলবুলের প্রেমিকা একেবারেই সন্দেহমুক্ত নয়। পুলিশ জানিয়েছে তাকে আরও জিঙ্গাসাবাদ করা হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ