কুয়েটে শিক্ষকের মৃত্যু: জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার চায় শিক্ষক সমিতি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)  © ফাইল ফটো

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের (৩৮) মৃত্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে ক্যাম্পাস। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কুয়েট। তবে শিক্ষক সমিতি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তারা চলমান ক্লাস বর্জনসহ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন এবং ছাত্রলীগের নেতা সহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয় কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ বিশ্বাস জানান, ‘কুয়েট কর্তৃপক্ষের ৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করাকে আমরা নেতিবাচকভাবে দেখছি। তবে আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা। সেটা করা হয়নি। তাই কুয়েট শিক্ষক সমিতি আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। রবিবার শিক্ষক ক্লাবে শোকসভা এবং কুয়েট জামে মসজিদে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।’

শিক্ষক ও ছাত্রদের অভিযোগ, কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান সহ তার লোকজন নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর ড. সেলিমের কক্ষে প্রবেশ করে অশালীন আচরণ এবং তাকে মানসিক নির্যাতন করেন। এর ফলে তিনি ৩০ নভেম্বর বেলা ৩টায় মারা যান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাধারণ সম্পাদক সেজানসহ উপস্থিত লোকজন তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচন করার জন্য হল প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা করা শুরু করেন। এরপর তারা ওই শিক্ষককে ধরে নিয়ে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন।

সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা আনুমানিক আধ ঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে ড. সেলিম দুপুরে খাবার খেতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাসায় যান। বেলা ২টার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে তিনি দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন এবং খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence