পরীক্ষা নিয়ে সংশয়, দীর্ঘ সেশনজটের শঙ্কায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইনভায়রনমেন্টাল সায়ন্স অ্যান্ড টেকনোলজি  বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শামসুল আরেফিন (ছদ্মনাম)। ২০১৯ সালে শিক্ষাজীবন শেষ করে পরিবারের হাল ধরার কথা। অথচ চর্তুথ বর্ষের ক্লাস শেষ হলেও আটকে আছেন পরীক্ষার জন্য। অনার্স চূড়ান্ত বর্ষে আটকে রয়েছেন প্রায় দেড় বছরের ও বেশি সময় ধরে। ফলশ্রুতিতে ঝাপটে ধরেছে হতাশা। যেকোন মূল্যে শিক্ষাজীবন শেষ করতে চান তিনি ও তার সহপাঠীরা। আরেফিনের এর মত হতাশায় ভুগছেন যবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের হাজারও শিক্ষার্থী।

করোনার কারণে ১৬ মাসের বেশি সময় বন্ধ যবিপ্রবি। এর মধ্যে চলমান শিক্ষাবর্ষের ক্লাস অনলাইনে শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগে। পরীক্ষার জন্য আটকে আছে পরবর্তী বর্ষের ক্লাস বা শিক্ষাজীবন শেষ করে কারো জবের প্রস্তুতি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২৮ মে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা সরাসরি অথবা অনলাইনে গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-ইউজিসি। সেই মোতাবেক দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর শাবিপ্রবি, জাবি, নোবিপ্রবিসহ অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কথা চিন্তা করে অনলাইনে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। 

এদিকে, যবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে সম্মতি থাকলেও  ডিভাইস না থাকা, মন্থর গতির ইন্টারনেট, অসচ্ছলতাসহ নানা কারণে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চান না শিক্ষার্থীদের একাংশ। কয়েকমাস আগে অনলাইনে বিগত বর্ষের ক্লাস শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

সর্বশেষ ঈদুল আজহা এর পর সুবিধাজনক সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে তা এখনো অনিশ্চিত। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তবে যবিপ্রবি প্রশাসন বলছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সশরীরে বা অনলাইনে যেভাবে হোক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা দুইভাবেই পরীক্ষা নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। অনলাইনে পরীক্ষার জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের ডেমো পরীক্ষা সহ সবকিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তবে আমাদের এখন লক্ষ্য হল সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া। আমাদের সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সক্ষমতা আছে।

তিনি আরও বলেন,গত কয়েকদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী যশোর করোনা সংক্রমন কমের দিকে যাচ্ছে। আমরা আরও কিছুদিন দেখবো, সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমি চাই নতুন বর্ষের শিক্ষার্থী আসার আগে যেকোনো ভাবেই সকল বর্ষের পরীক্ষা শেষ করতে।


সর্বশেষ সংবাদ