থাকার জায়গা না পেয়ে হলের সামনে বিছানা-তোশক নিয়ে শিক্ষার্থীরা

বন্ধ হলের সামনে চুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান
বন্ধ হলের সামনে চুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্নাতক শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে আসা বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী থাকার জায়গা ব্যবস্থা করতে না পেরে শহীদ তারেক হুদা হলের সামনে অবস্থান করছেন।

আজ শনিবার বিকাল ৪টা থেকে (প্রতিবদনটি লেখা পর্যন্ত) রাত সাড় ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তারেক হুদা হলের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানানো হলেও কর্তৃপক্ষের কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, করোনায় আটকে থাকা স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চুয়েট কর্তৃপক্ষ। স্নাতক শেষ বর্ষের প্রায় সাতশ শিক্ষার্থী নিয়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথমে এই পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে হল বন্ধ রেখে ৩ জানুয়ারি সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু তখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেসের ব্যবস্থা করতে না পারায় সে সময় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ফেব্রুয়ারি-মার্চে এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই চুয়েটের পাশে পাহাড়তলি, উনসত্তর পাড়া ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় মেস ভাড়া করতে শুরু করে। তবে যেসব শিক্ষার্থী মেস পাচ্ছিলেন না বা মেসে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন তারা আজ দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তারেক হুদা হলের সামনে বিছানা-তোশক নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

হলের সামনে অবস্থান নেওয়া জাফর আহমেদ জানান, বেশ কয়েকটি মেস দেখেছি, থাকার পরিবেশ এবং সুযোগ কোনটিই সেখানে নেই। এদিকে হলও বন্ধ। তাই আমরা এসব শিক্ষার্থীরা থাকার উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে হলের সামনেই অবস্থান নিয়েছি। এটাকে আমরা নিরাপদ মনে করছি।

শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট ডক্টর জিয়াউল হক হায়দার জানান, আমরাও চাচ্ছি, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে থেকে কোন রকম ভোগান্তি ছাড়া পরীক্ষা দিক। আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছি। এখন হলের মালিক হলেন কতৃপক্ষ। কতৃপক্ষ অনুমতি দিলেই আমরা হল খুলে দিতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ রফিকুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শহীদ তারেক হুদা হলের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ ব্যাপারে কি করা যায় সেজন্য শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি ও সরকারের অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি বর্গের সাথে আলোচনা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ