২১ আগস্ট নিহতদের স্মরণে যবিপ্রবিতে দোয়া-মোনাজাত
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০৭:৫১ PM , আপডেট: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৩৩ PM
২০০৪ সালের ২১ আগস্টে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া-মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সুন্দরভাবে সমাপ্ত করার জন্য মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এজন্য ষড়যন্ত্রকারীরা, চক্রান্তকারীরা যতবার তাঁকে মারতে চেয়েছে, ততবার আল্লাহর বিশেষ কুদরতে শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা জেনে থাকবেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির যদি পাঁচটি দেশ ধরা হয়, তাহলে সেখানে বাংলাদেশ স্থান পায়। সুতরাং এ উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন ওই ঘৃণিত ব্যক্তিদের রায় কার্যকর করা হয়। তাহলে দৃষ্টান্ত তৈরি হবে, কখনোই কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ করার সাহস পাবে না।
পরে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া-মোনাজাত। দোয়া-মোনাজাতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম।
দোয়া-মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুর রশীদ, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাজেদুর রহমান জুয়েলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।