নানা আয়োজনে সুবিপ্রবির প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড্ডয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড্ডয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন  © সংগৃহীত

নানা আয়োজনে সুনামগঞ্জের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে সুবিপ্রবির শান্তিগঞ্জের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড্ডয়ন, শান্তির প্রতীক পায়রা মুক্তকরণ ও বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। র‍্যালিটি সুবিপ্রবির অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে শান্তিগঞ্জ ঝিলমিল অডিটোরিয়ামে এসে আলোচনা সভাস্থলে মিলিত হয়। 

সুবিপ্রবির উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য (খণ্ডকালীন) অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সুবিপ্রবির প্রভাষক শান্তা রানি সাহা ও সাইদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এম. সারওয়ার উদ্দিন।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুল মজিদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, সুবিপ্রবির ডিন ড. হারুনুর রশিদ, জেলা প্রশাসক ড. মো. ইলিয়াস মিয়া ও পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ। 

এ সময় বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জায়গা। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মূলত পাঠ্যবই নির্ভর পড়াশোনা করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার প্রায় ৬০ ভাগ গবেষণাধর্মী। এখানে রিসার্চ করে নতুন নতুন বিষয়ে ধারণা উদ্ভাবন করা হয়। রিসার্চের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই এটা সত্য। কিন্তু তাই বলে যেগুলো আছে সেগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দিলে চলবে না। 

তারা আরও বলেন, লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে। একটা সময় ছিল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হতো। মনে হতো একেকটা বিশ্ববিদ্যালয় যেন একেকটা ক্যান্টনমেন্ট। আমরা প্রত্যাশা রাখছি, আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তারা শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করবেন। শিক্ষার বরাদ্দ বাড়িয়ে গবেষণার দিগন্ত উন্মোচন করে দেবেন। অবহেলিত জেলা সুনামগঞ্জকে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে সুবিপ্রবি বহুদূর এগিয়ে যাবে।

এ সময় সুবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুল লতিফ, সুবিপ্রবির রেজিস্ট্রার সুবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী সারফুদ্দিন, সুবিপ্রবির সিন্ডিকেট সদস্য আনছার উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহাসহ পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী, সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক ড. শেখ আব্দ পরিশেষে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক এবং সুবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সেখ লতিফ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ