পাবিপ্রবিতে সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে ‘প্রজেক্ট শো প্রেজেন্টেশন’ অনুষ্ঠিত
- পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৪ PM , আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:২৭ AM
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে প্রজেক্ট শো প্রেজেন্টেশন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাধিক টিমে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের গ্যালাতি-২-এ এই প্রজেক্ট শো প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রামটি শুরু হয়। প্রোগ্রামের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত ও আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো কামরুজ্জামান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক, সহকারী প্রক্টর মো. আরিফুল ইসলাম, সহকারী ছাত্র উপদেষ্টা মো. ইমরান হোসাইন, সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. ওলিউল্লাহ, সদস্যসচিব মো. সজীব প্রামাণিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম শুরুতেই জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, ‘তোমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আজ ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছিল ২০২৪ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রথম র্যালি বের করেছিলেন তোমাদের মনে আছে নিশ্চয়ই। আমরা তাদের স্মরণ করি যারা এই মুভমেন্টে জীবন দিয়েছিল। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের মাফ করে দেন এবং তাদের শহীদের মর্যাদা দেন। আজকে এই কম্পিটিশনে আসতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন আয়োজন করতে পেরেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ১৬ বছরে কোনো সায়েন্ট ক্লাব ছিল না যেখানে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান চর্চা করবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির দিক দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, এ জন্য যা কিছু করা দরকার আমরা তাই করব।’
কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সায়েন্স ক্লাবটি আছে, তা বর্তমান যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভর যুগ। বাংলাদেশকে আমার বলি অ্যাগ্রিকালচারাল কান্ট্রি। ওয়ার্ল্ডে কোনো কৃষিপ্রধান দেশ নেই, যা উন্নত বিশ্বে পরিণত হয়েছে। যদি আমরা সারা জীবন কৃষির ওপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকি, তাহলে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার সুযোগ নেই, এটা আমি গ্যারেন্টি দিয়ে বলতে পারি। এমন কোনো সোর্স নেই, যেটা দিয়ে আমরা ঘড়ে বসে ইনকাম করব আর দেশের জিডিপি বেড়ে যাবে। আমাদের যা আছে, অদক্ষ তরুণ, তাদের যদি আমরা দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারি, তাহলে এ দেশের উন্নয়নের একটা সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি। এ জন্য আমাদের প্রযুক্তির উন্নয়নে নজর দিতে হবে।’