পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা পেতে ভোগান্তি
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫ PM , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫ PM

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএনএসভিএম) অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পেতে নানা জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। মূল ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলে বিলম্বের কারণে এখনো উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে তাদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান নিশ্চিত করবে।
অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের জন্য অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এই উপবৃত্তির অর্থ একাডেমিক ব্যয় বহনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। প্রশাসনিক বিলম্বের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হলের এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা অনেকেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়, যা বহন করা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপবৃত্তির অর্থ আমাদের জন্য সহায়ক। জানুয়ারি মাসে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা পাইনি। যথাসময়ে অর্থ প্রদান করা হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ডিভিএম বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুমতাহেনা জেনিন বলেন, ‘প্রতি সেমিস্টারে বৃত্তি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এক বছর পার হয়ে গেলেও আমরা উপবৃত্তির টাকা পাইনি। যদিও টাকার পরিমাণ বেশি নয়, তবে আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত সহায়ক। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত এই জটিলতার সমাধান করুক।’
এ বিষয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোসাম্মৎ কুলসুম বেগম জানান, ‘কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কারণে আমরা সংশোধনের কাজ করছি। এজন্য এখনো হল অফিস থেকে মূল ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ দাখিল করা যাবে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে দ্রুতই জমা দেওয়া হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা খুব শিগগির উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যাবেন।’
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ফাইল মূল ক্যাম্পাসে পাঠানো হয়েছে এবং কাজ চলমান রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে। যেহেতু এখন বিষয়টি মূল ক্যাম্পাসের সংশ্লিষ্ট বিভাগে রয়েছে, তাই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমি ইতোমধ্যে আমার স্টাফদের বিষয়টি খোঁজ নিতে বলেছি এবং আগামী রবিবার আবারও খোঁজ নেবো। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করতে চাই।’