শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা, আহত ২
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০ PM , আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৩ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২ জন। তাদের উদ্ধার করে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নয়াবাজার এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে।
আহত ২ শিক্ষার্থী হলেন, জোবায়েদ হাসান ও মো. মাশরাফি। তারা দুজনেই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, 'শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নয়াবাজার পয়েন্টের পাশে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এ উপলক্ষ্যে পাশের সড়কে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী দোকানপাট বসেছিল। সেখানে ছবি তোলা নিয়ে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে মাশরাফি ও জোবায়েদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন মিলে ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় এক শিক্ষার্থী ভিডিও করতে চাইলে তার মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।'
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী তাহমিদুর রহমান বলেন, 'আমাদের এক সহপাঠীর জন্মদিন উদ্যাপন করে ১২ জন চা পানের জন্য নয়াবাজার এলাকায় গিয়েছিলাম। পাশেই একটা ওয়াজ মাহফিল চলছিল। মাহফিলের পাশে কয়েকটি দোকান বসেছিল। মাশরাফি মুঠোফোনে দোকানগুলোর বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও করছিল। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে দাবি করেন, মুঠোফোনে মেয়েদের ছবি তোলা হয়েছে। একপর্যায়ে মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে সেটি ভেঙে ফেলে। এ সময় তারা মাশরাফিকে মারধর শুরু করেন। তাকে বাঁচাতে অন্য সহপাঠীরা এগিয়ে গেলে সবাইকে মারধর করেন স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ জন।'
তিনি আরও বলেন, 'হামলাকারীরা আমাদের বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। আক্রমণকারীদের হাতে ছুরিও দেখা গেছে। এ ঘটনায় মাশরাফি মাথায় ও কানে আঘাত পেয়েছেন। অন্যদিকে জোবায়েদ হাতে আঘাত পেয়েছেন।'
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আজমান আরিফ তুহিন বলেন, 'এ ঘটনায় মাশরাফি কানে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। সে এখনো এক কানে কিছু শুনতে পাচ্ছে না।'
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, 'আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মামলার ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।'