বুটেক্সে অবশেষে বন্ধ থাকা বেতন পেলেন খন্ডকালীন শিক্ষকরা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) কিছু শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মেনে প্রতি বছর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। এ সময়ে বিভাগগুলোয় শিক্ষক সংকট আরও প্রকট হয়। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় খন্ডকালীন শিক্ষক। তবে বুটেক্সে কয়েকটি নিয়োগে বেশিরভাগ খণ্ডকালীন শিক্ষক সঠিক সময়ে নিয়োগপত্র পাননি। ফলে নির্দিষ্ট সেমিস্টার শেষ হলেও বেতন বন্ধ ছিল। অবশেষে তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বুটেক্সে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে বিভাগ থেকে অ্যাকাডেমিক সেকশনে আবেদন পাঠানো হয়। পরে যারা শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করেন, তাদের ভাইভা হয়। একটি মিটিংয়ের মধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়ে অ্যাকাডেমিক সেকশনে তাদের জন্য একটি ফাইল তৈরি করা হয়। এটি উপাচার্যের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে। এরপর শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার হয়। এর আগে ইউজিসির অনুমোদন নিতে হয়।

খন্ডকালীন শিক্ষকরা একটি সেমিস্টারে যে ক’টি ক্লাস নিয়েছেন, তার মোট সংখ্যা হিসাব করে বিভাগের প্রধান থেকে কনফার্মেশন সিগনেচার নেন। সেই কাগজটি অ্যাকাউন্টস সেকশনে প্রদান করলে তাদের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক খন্ডকালীন শিক্ষক সঠিক সময়ে নিয়োগপত্র ও বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা করেও বেতন পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে বেতন নেওয়ার জন্য খন্ডকালীন শিক্ষকরা একটি সেমিস্টারে যে ক’টি ক্লাস নিয়েছেন, তার মোট সংখ্যা হিসাব করে বিভাগের প্রধান থেকে কনফার্মেশন সিগনেচার নেন। সেই কাগজটি অ্যাকাউন্টস সেকশনে প্রদান করলে তাদের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক খন্ডকালীন শিক্ষক সঠিক সময়ে নিয়োগপত্র ও বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা করেও বেতন পাচ্ছিলেন না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষকরা শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিদেশে পাড়ি জমালেও তারা কাজ শেষে সময়মতো দেশে ফেরেন না। ফলে বুটেক্সের শিক্ষক সংকট আরো প্রকট হচ্ছে। তাছাড়াও খণ্ডকালীন শিক্ষকদের অনিয়ম করে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যুক্ত হওয়ার জন্য অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক সম্প্রতি বলেন, ক্লাস শুরু করার অনেক পর আমি নিয়োগপত্র হাতে পাই। আর বেতনের ব্যাপারে খোঁজ নিলে জানা যায়, বেতন দেওয়ার অনুমতি নেওয়া হয়নি। আবার শোনা যায় নতুন বাজেট আসলে দেবে। তাছাড়া কেউ বলে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদন দিলে বেতন পাব। এতে ধোঁয়াশার মধ্যে থাকি।’

খণ্ডকালীন আরেক শিক্ষক নিয়োগপত্র দেরীতে পাওয়া ও বেতন সময়মতো না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি দুটি সেমিস্টার ক্লাস নিয়েছি। একটি ব্যাচে আমি চারটি বিভাগের ক্লাস নিয়েছিলাম। কিন্তু সে সেমিস্টারের নিয়োগপত্র প্রায় শেষের দিকে পাই। পরবর্তীতে আমাকে বেতন দেওয়া হয়নি।’

আরো পড়ুন: রাবিতে চার শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়েছেন একই প্রক্সিদাতা

আরেক সেমিস্টারে পাঁচটি বিভাগের ক্লাস নিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই সেমিস্টারের নিয়োগপত্র আমাকে এখনো দেওয়া হয়নি। আমি রেজিস্ট্রার অফিসে কথা বললে আমাকে বলা হয়, এখনো নিয়োগপত্রটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ফলে এ সেমিস্টারের ক্লাস এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও আমি নিয়োগপত্র ও বেতন কোনোটিই পাইনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার বলেন, ‘খন্ডকালীন শিক্ষকদের বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউজিসির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কিন্তু ইউজিসি আমাদের খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিতে নিষেধ করেছেন। ভবিষ্যতে এ সমস্যার সমাধান করতে আমরা সক্ষম হবো বলে আশা করছি।’ জটিলতার পরও এরইমধ্যে আগের বেতন সব পরিশোধ করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে ইউজিসিতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে পরে বলতে পারব।


সর্বশেষ সংবাদ