টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ যবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

যবিপ্রবি অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ
যবিপ্রবি অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ  © ফাইল ছবি

চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ও অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান। এর আগে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ২১ আগস্ট তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) উক্ত টাকা ফেরত এবং ড. ইকবাল কবির জাহিদের প্রতারণার বিচার চেয়ে যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলীমুজ্জামান শিশির।

আলীমুজ্জামান শিশির অভিযোগ পত্রে লেখেন, ‘যবিপ্রবিতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ড. ইকবাল কবির জাহিদ প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ ৮০ টাকা নেয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে একই বছরের ৬ মার্চ ১ লাখ টাকা নেন। তিনি সর্বমোট ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এরপর নানা সময়ে তাগাদা দেওয়ার পরও তিনি আমাকে চাকুরী দেননি এবং টাকা ফেরত চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন।'

ভুক্তভোগীর সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, 'মঙ্গলবার আমার টাকা ফেরত চেয়ে ও এর যথাযথ বিচার চেয়ে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মহোদয় বরাবর আবেদন করতে গেলে রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযোগটি জমা রাখেনি। তাই ডাক যোগে চিঠি আকারে অভিযোগটি পাঠিয়েছি। হিসাব সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার জন্য ড. ইকবাল স্যারের কাছে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে আমার বাবা মারা গেলে আর্থিক সংকটে পড়ে যায়।

তখন টাকা ফেরত চাইলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন এবং আমাকে হুমকি-ধমকি দেন। কয়েকদিন আগে উনাকে কল দিলে ফোন বন্ধ পাই এমনকি তিনি তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারও বন্ধ করে দেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আমার বাবা সরাসরি ইকবাল কবির জাহিদ স্যারকে সব টাকা দিয়ে এসেছিলো।'

অভিযোগের বিষয়ে ইকবাল কবির জাহিদ বলেন সলুয়া বাজারের শিশির নামে কোনো ব্যক্তিকে তিনি চেনেন না। এ অভিযোগ তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব জানান অভিযোগটি তিনি পেয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে এই ঘটনার বিচারকার্যে রেজিস্ট্রার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না। তাই নতুন উপাচার্য নিয়োগের পরে অভিযোগটি ওনার কাছে পাঠানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ