চিরকুট লিখে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০১:০৫ AM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ AM
চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অনুপম রায় নামের এক শিক্ষার্থী। বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে দিনাজপুর সদরে অবস্থিত বন্ধন ছাত্রাবাস (বাসটার্মিনাল সংলগ্ন এলাকা) থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অনুপম রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই অনুষদের ১৮ তম ব্যাচের নিয়মিত ছাত্র। তার বাবার নাম অধ্যাপক রতন রায় এবং বাসা নীলফামারী জেলায়। তার সহপাঠীদের মাধ্যমে জানা যায়, পারিবারিক সমস্যাজনিত কারণে তিনি এমনটি করেছেন।
মেসের শিক্ষার্থীরা জানায়,সারাদিন ধরে রুমের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় আমাদের। এরপর সন্ধ্যায় আমরা জানালা খুলে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দেওয়া হলে রাত ৯ টার দিকে তারা দরজা ভেঙে অনুপমের লাশ নামায়।
লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে তিনি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘বাবা, আমায় ক্ষমা করে দিও। এমন একটা সম্পর্কে জড়িয়েছি। তার কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার। কারও প্রতি কোনো অভিযোগও নেই। তার দোষও দিচ্ছি না। আমার কাছে মানুষের পাওনা থাকতে পারে। মন্দির-মসজিদে পরিশোধ করে দিও বাবা। তোমাকে ভীষন ভালোবাসি বাবা। আই লাভ ইউ বাবা। আমার লাশের কাটাছেঁড়া না হোক। নগরে মার পাশে শায়িত হতে চাই। মা ছাড়া জীবনটায় মানসিক সমস্যা ছিলো আগে থেকে। ইদানীং বেড়েছে, ঘুমাতে পারি না। দিদা, আমাকে বড় করে তুললা, বড় হয়েই ভুল করলাম। তোমার মেয়ের কাছেই যাচ্ছি...।
চিরকুটে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখেন, আমার সৎ মা, ভাই তোমরা ভালো থেকো। বাবাকে দেখে রেখো। আমার কোনো ভুল হলে ক্ষমা করে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য বন্ধন ছাত্রাবাসের কেউ দায়ী না।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন বলেন, আমরা সন্ধ্যায় খবর পাই। এরপর একজন ইন্সপেক্টর গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ নামায়। পরবর্তীতে লাশ নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের আপত্তি না থাকায় এবং চিরকুটের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সন্দেহ না থাকায় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আমরা লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করি। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।