এবার স্বাস্থ্যবীমার আওতায় এলো শাবিপ্রবির কর্মচারীরা

সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠান
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠান  © টিডিসি ফটো

শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তার পর এবার স্বাস্থ্যবীমার আওতায় এলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কর্মচারীরা। সহায়তা কর্মচারী ও সাধারণ কর্মচারীদের এ বীমার আওতায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রশাসনিক ভবন-২ এর সভাকক্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং শাবিপ্রবির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আলম ভুঁইয়া।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে স্বাস্থ্যবীমার অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি। দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রচেষ্টা ও প্রতিকূলতা পার করে আমরা তা করতে পেরেছি৷ এটি আমাদের জন্য সহজ ছিল না। তাই প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অসুস্থ হলে একসাথে অনেক টাকা টাকা চিকিৎসা ব্যয় বাবদ বহন করতে পারেন না। এতে অনেক হিমশিম খেতে হয় তাদের। তবে বীমার আওতায় থাকার ফলে তারা এখান থেকে বড় ধরনের একটা চিকিৎসাজনিত সহায়তা পাবে, যা তাদের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা চাইলে তাদের স্পাউস ও সন্তানদের এ বীমার অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। পরিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বীমার অন্তর্ভুক্ত করতে তাদেরকে বেশি বেশি অবহিত করার আহ্বান জানান উপাচার্য।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, স্বাস্থ্য বীমার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিকিৎসার জন্য সুযোগ সুবিধা পাবে। এটা আমাদের জন্য কল্যাণকর হয়ে দাঁড়াবে।  শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের পর কর্মচারীদের বীমার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে বীমার অন্তর্ভুক্তির সুফল আমরা পাচ্ছি। তাই সকলকে বীমার আওতায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আলম ভুঁইয়া বলেন, স্বাস্থ্য বীমার অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এই বীমাচুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে কর্মচারীরা বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বীমা সুবিধা পাবেন।

এই চুক্তির আওতায় শর্তসাপেক্ষে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ডায়ালাইসিস, ফিজিওথেরাপির বহিরঙ্গণ চিকিৎসা (ডে কেয়ারের ভিত্তিতে) বাবদ খরচ বহন করা হবে। এতে হাসপাতালে ভর্তির পর একজন কর্মচারী (বীমাভূক্ত) সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বীমা সুবিধা নিতে পারবেন। অন্যদিকে ফ্যাকো সার্জারি বা কন্টাক্ট অপারেশনের ক্ষেত্রে প্রতিটি চোখের চিকিৎসা বাবদ সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা সুবিধা পাবেন কর্মচারীরা।

এই বীমার অন্তর্ভুক্তির জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার ২৫০ টাকা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্পাউস ও তাঁদের সন্তানদের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম হবে। 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ,  দপ্তর প্রধান, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence