শনিবারের পরীক্ষাও বর্জন করছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের টানা ১৩ দিনের ছুটি শেষে গত বুধবার খুলছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল, কিন্তু তারা তা বর্জন করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা থাকায় এ দুদিন কোনো ব্যাচের ক্লাস ছিল না। 

গতকাল শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ শনিবার ২০ ব্যাচের একটি পরীক্ষা রয়েছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে সেটিও তারা বর্জন করবেন। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাই কোর্ট যে আদেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আপিল করা হলে এবং বর্জন করা পরীক্ষার নতুন তারিখ ঠিক করা হলে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন। 

বুয়েট প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, শনিবার বুয়েটের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা রয়েছে। সভায় পরীক্ষার সময়সূচি পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে, যাতে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেন।

আরও পড়ুন: বুয়েটে পরীক্ষার সব আয়োজন আছে, নেই শুধু পরীক্ষার্থী

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি।

এরপর গত ২৮ মার্চ গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ একদল নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি করে শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান দেন। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ডিএসডব্লিউর পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ মার্চ রাতে ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিল করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

পরে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইমতিয়াজের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সেই ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র কার্যক্রম স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। তবে নিজেদের শিক্ষালয়ে কোনো ধরনের ছাত্ররাজনীতি চান না বলে বরাবরই নিজেদের অনড় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ