শর্ত পূরণ করেও বৃত্তি না পাওয়ার অভিযোগ হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডে নতুন তিনটি অ্যাওয়ার্ড ও একটি অ্যাওয়ার্ডের অর্থ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাশ হলেও তার টাকা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে ডিন অফিস বলছে বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার কৃতিত্ব স্বরূপ শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৫৪ তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় তিনটি নতুন আওয়ার্ড চালু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেগুলো হলো হল  ডিন’স মেরিট অ্যাওয়ার্ড, ভাইস চ্যান্সেলর্স মেরিট অ্যাওয়ার্ড এবং চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড। পূর্বের বাৎসরিক ১ হাজার ২০০ টাকার ডিনস লিস্ট অ্যাওয়ার্ডও দশ হাজার টাকা করা হয় ৫৪ তম রিজেন্ট বোর্ডে।

এদিকে ডিন’স লিস্ট অ্যাওয়ার্ড এর শর্ত নিয়েও কাটছে না জটিলতা। শিক্ষার্থীদের দাবি অ্যাওয়ার্ড গুলোর বিজ্ঞপ্তিতে দুই সেমিস্টারে গড় জিপিএ-৩.৭৫ (৪.০০ স্কেলে) এর উল্লেখ থাকলেও ডিন অফিস থেকে বলা হচ্ছে দুই সেমিস্টারেই পৃথকভাবে জিপিএ- ৩.৭৫ বা তদূর্ধ্ব জিপিএ থাকতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি দেওয়া হয় একাডেমিকে উৎসাহ বাড়ানোর জন্য। আমরা এখন ২য় বর্ষের শেষ পর্যায়ে। ১ম বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে ডীনস অফিসে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আমরা আবেদনপত্র জমা দিই। এরপর মাঝে প্রায় ৬মাস কেটে গেছে। এখন আমাদের আগের নিয়মে ডীনস লিস্ট অ্যাওয়ার্ডের বারো’শ টাকা দেওয়া হবে নাকি নতুন কাঠামো অনুযায়ী দশ হাজার টাকা দেওয়া হবে এ বিষয়ে আমাদের ধোঁয়াশা কাটছেই না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ পাওয়া বৃত্তির টাকা দিতে যে ধীরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা মেধাবী শিক্ষার্থীদের মনে উৎসাহের বদলে হতাশার জন্ম দিচ্ছে।

এছাড়াও কৃষি অনুষদের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ২৪ আগস্ট ২০২৩ প্রকাশিত কৃষি অনুষদের ডিন লিস্ট বৃত্তির যোগ্যতা একই অ্যাকাডেমিক ইয়ারে এভারেজ ৩.৭৫ অথবা প্রত্যেক টি তে ৩.৭৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে দেয়ার কথা বলা হয়েছিলো। আমরা যারা এভারেজ ৩.৭৫ বা এর বেশি পেয়েছি তারা  যখন এবিষয়ে আমাদের ডিন অফিসে কথা বলি তারা আমাকে বলে এভারেজ প্রাপ্ত দের দেয়া হবে না। আমি তাদের নোটিশ দেখালে তারা বলে এটা ভুল আছে এটা পরের রিজেন্ট বোর্ডে সংশোধন করা হবে। যা প্রকাশিত ডিন লিস্ট বৃত্তির যোগ্যতার সাথে সাংঘর্ষিক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে গড় রেজাল্টের বিষয়টি ভুল ছিল। এটা সংশোধন করা হচ্ছে। এবং এই বিজ্ঞপ্তি শুধু ১৪ আগস্ট ২০২৩ এর পর প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে উক্ত অ্যাওয়ার্ডগুলো দেওয়া হবে। যেমন কৃষি অনুষদের লেভেল-৪ এর সেমিস্টার-১ এবং সেমিস্টার-২ এর রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে উক্ত তারিখের পরে। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় ৫৫ জন মনোনীত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই তার লিস্ট প্রেরণ করেছি।

এদিকে উক্ত তারিখের আগে ফলাফল প্রকাশিত শিক্ষার্থীদের ডিনবৃত্তির বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মো.আনোয়ার সাদাত বলেন, ঐ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে। ঐ মিটিংয়েই বৃত্তির বিষয়টির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো সংশোধন থাকলে সেটাও পর্যালোচনা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ