কেনো ভর্তি হবেন যবিপ্রবিতে?

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। এই অঞ্চলের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যবিপ্রবি। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

খুলনা বিভাগের চতুর্থ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে ওঠা এই ক্যাম্পাস অপেক্ষাকৃত নবীন হলেও শিক্ষা, গবেষণা এবং খেলাধুলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১০ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ৩৫ একর জমি নিয়ে এই ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

বর্তমানে ৭টি অনুষদের অধীনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগ রয়েছে। সম্প্রতি ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেনারি কলেজকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেনারি মেডিসিন অনুষদভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ অধ্যাপক বদলির আবেদন আহ্বান মাউশির

৮ হাজার ২৮৬ শিক্ষার্থীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করছেন ৩১৩ জন শিক্ষক। এটিকে একটি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। যবিপ্রবি ৩ শিক্ষক পরপর দুইবার বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। দেশের চতুর্থ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি তৈরি করতে যাচ্ছে যবিপ্রবি। গবেষণার দিক দিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাফল্য ঈর্ষণীয় অর্জন করেছে যবিপ্রবি।

New Project - 2023-07-20T211220-571

যবিপ্রবিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইন্সটিটিউট অব এডভান্সড স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ’ নামে একটি ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি রয়েছে অত্যাধুনিক গবেষণাগার সমূহ। করোনাকালীন সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তসহ করোনা শনাক্তে স্বল্প খরচে 'সাইবার গ্রীন' পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়।

এতে  শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে সুবিশাল লাইব্রেরি এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানাতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রয়েছে অভিজ্ঞ ডাক্তারগণের সমন্বয়ে ডাঃ এম আর খান মেডিকেল সেন্টার। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সার্বক্ষণিক বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা। 

শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য এতে খেলার মাঠ, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, ইনডোর গেমস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেসিয়াম। পড়াশোনা, গবেষণা ছাড়া খেলাধূলায়ও রয়েছে যবিপ্রবি সাফল্য। 

সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস যবিপ্রবি; কোন বিভাগেই অতিরিক্ত সময় গুনতে হয় না শিক্ষার্থীদের। এটিকে সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলেছেন যবিপ্রবি প্রশাসন। নির্মাণাধীন দুটিসহ বর্তমানে চারটি আবাসিক হল রয়েছে। শহর থেকে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব পরিবহন সেবা রয়েছে যবিপ্রবির। চক্রাকারে শহর থেকে ক্যাম্পাসে নিয়মিত যাতায়াত করে এই বাসসমূহ। নির্মাণাধীন দুই আবাসিক হলের কাজ সম্পন্ন হলে যবিপ্রবি হবে দেশের দ্বিতীয় সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।
 
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীদের পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। সাংবাদিক সমিতি, ডিবেটিং সোসাইটি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, বঙ্গবন্ধু ক্যারিয়ার ক্লাব, রোটারি ক্লাব, আইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ সহ আরও অনেক সংগঠন ক্যাম্পাসে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence