কুয়েটে সহকারি রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন নারী অফিসার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

কক্ষের বরাদ্দ না পেয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি দোলনকে পৌনে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা। 

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে সহকারি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র দোলনের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে ছিটকানি আটকে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সহায়তায় তিনি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন।

সহকারী রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি দোলন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা এই কক্ষটির বরাদ্দ পেতে আগে থেকেই তৎপর ছিলেন। যেটা আমি জানতাম না। রবিবার আমি আমার কক্ষের ডেস্কে বসতেই তিনি কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে আমাকে বের হতে বলেন। আমি তাকে ভিসির নির্দেশে এই কক্ষ বরাদ্দ পেয়েছি ও তাকে ভিতরে এসে কথা বলার জন্য আহবান করি। কিন্তু তিনি কক্ষের বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করেন। পরে বেলা ১১ টার দিকে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সহায়তায় তার কক্ষের দরজা খোলা হয়।

আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবি পিরোজপুরের প্রথম উপাচার্য ড. কাজী সাইফুদ্দিন

সেকশন অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা বলেন, সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের সিদ্ধান্ত ছিল তাকে ওই কক্ষটি দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি মাতৃত্বকালিন ছুটিতে থাকায় কক্ষটি নিতে পারেননি। রবিবার সকালে অফিসে গিয়ে ওই কক্ষে সহকারী রেজিস্ট্রার দোলননকে বসা দেখে তাকে কক্ষ থেকে বের হতে বলি। উদ্দেশ্য ছিল তাকে নিয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা। কিন্তু তিনি বের না হওয়ায় আমি রেগে তাকে কক্ষে রেখেই বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে দেই। 

এদিকে কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য বিভাগের সহকারি পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তার বিব্রতবোধ করছেন। দু’জনের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। 


সর্বশেষ সংবাদ