ভাতার দাবিতে ঢাবি কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ভাতার দাবিতে ঢাবিতে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
ভাতার দাবিতে ঢাবিতে কর্মচারীদের বিক্ষোভ  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীরা অধিকাল ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। গত বছরের (২০২১ সালের) আগস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ মাস ধরে অধিকাল ভাতা পাচ্ছেন না তারা। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরের সামনে জড়ো হয়ে তাদের পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

ভুক্তভোগী কর্মচারীরা জানান, টানা ছয় মাস ধরে তারা অধিকাল ভাতা পাচ্ছেন না। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ছুটির দিনেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ক্যাম্পাসে এসে দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য যাতায়াত বাবদ তাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। এরমধ্যে নিয়মিত অধিকাল ভাতা না পেলে তাদের পরিবার নিয়ে চলতে সমস্যা হয়ে যায়।

তারা আরও জানান, অধিকাল ভাতা হিসেবে স্কেল অনুযায়ী একজন কর্মচারী দৈনিক ৪৮৮ টাকা থেকে ৭৮৬ টাকা পেয়ে থাকেন। সে হিসাবে তাদের প্রত্যেকের ৩০ হাজার টাকার বেশি ভাতা আটকে আছে। এ ভাতা তুলতে তাদের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরতে হচ্ছে। তারপরও অধিকাল ভাতা বাবদ কোনো টাকা পাননি তারা।

আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে অবসরপ্রাপ্ত ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী পাচ্ছেন পাওনা টাকা

প্রকৌশলী দপ্তরের ইলেকট্রনিক কাম প্লাম্বিং কর্মচারী কমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, করোনাকালীন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে ছিলেন না তখনও আমরা কাজ করেছি। দূর-দূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে গাড়ি ভাড়া বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়েছে। কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময়ের মজুরি দিয়ে এ বাড়তি খরচ আমরা পুষিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু বিগত ৬ মাস ধরে এ ভাতা দেওয়া হচ্ছে না।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম রাসেদুল হাসান মো. আব্দুল খালেক বলেন, তাদের দাবিটা যৌক্তিক কিন্তু আমরা তো কিছু করতে পারছি না। করোনাকালীন কিছু ভাতা বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু আমাদের পানি, বিদ্যুতের কাজ তো সবসময়ই করা লাগে। তাই তাদেরকেও সবসময়ই ডিউটি করতে হয়েছে। তাদের দাবি পূরণে আমরা চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার চেষ্টা করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ