এন্ট্রি পদে নবম গ্রেড, ছয় স্তরের পদসোপান চান মাধ্যমিকের শিক্ষকরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৮ PM
পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বৈষম্য দূর করতে এন্ট্রি পদে নবম গ্রেডে উন্নীত করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদমর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সাথে ৪ থেকে ৬ স্তরের অ্যাকাডেমিক পদসোপান তৈরির দাবিও জানিয়েছেন এসব শিক্ষক।
আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘মাধ্যমিক শিক্ষার সংকটের স্বরূপ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনার ও শিক্ষক সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডভিত্তিক পদসোপান বাস্তবায়ন পরিষদ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে সভাপতিত্বকালে পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশপদসহ সহকারী শিক্ষক পদকে তৎকালীন জাতীয় বেতন স্কেল, ১৯৭৩-এর ষষ্ঠ গ্রেডের সব পদকে ১৯৭৫ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে পদমর্যাদা লাভ হয়। সহকারী শিক্ষকের বদলযোগ্য পদ পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদকে ১৯৯৬ সালে নবম গ্রেডভুক্ত করা হলেও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ আজও দশম গ্রেডে রয়ে গেছে।
আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, শিক্ষকতা পেশায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দুটি শাখার প্রারম্ভিক পদের নিয়োগ ও যোগ্যতা একই (স্নাতকোত্তর) বা বেশি হলেও বেতন গ্রেড ও মর্যাদায় তারতম্য রয়েছে। এটি স্পষ্ট বৈষম্য। এ বৈষম্য দূর না করা পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষায় শৃঙ্খলা ও গতি ফিরবে না।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে শিক্ষক রাশিদুজ্জামান বলেন, সিনিয়র শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদগুলো নবম গ্রেডের বিসিএস ক্যাডারভুক্ত। তাই সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদগুলোতে নবম গ্রেডের সিনিয়র শিক্ষক পদ থেকে পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সুষ্ঠু পদসোপান তৈরি না করা পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়া অসম্ভব।
তিনি বলেন, কলেজে অ্যাকাডেমিক পদ অধ্যাপক হতে প্রশাসনিক পদ অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি না দিয়ে পদায়ন করা হয়। কিন্তু সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক পদ সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হতে প্রশাসনিক পদসহ প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এই কারণে পদোন্নতির জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ বিমান অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মইন উদ্দিন লোটাস, ময়মনসিংহের ফুলপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আজাদ, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মঈন উদ্দীন প্রমুখ। এ ছাড়া ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও পরিষদের সদস্যসচিব মো. আব্দুল মূবীন, সহকারী শিক্ষক আহমেদ বুলবুল ও আরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।