৮ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর খবর সত্য নয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস। সর্বশেষ আরও এক দফায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ফলে স্থগিত হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও। এই পরীক্ষা কবে নেয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের গুজব ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। সর্বশেষ গুজব ছড়িয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপেও এ ধরনের তথ্য শেয়ার হতে দেখা গেছে। 

তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার খবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাকচ করে দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো তথ্য আমাকে জানানো হয়নি।’

অবশ্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী নভেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবছে সরকার। পূর্ণ নম্বর কমিয়ে সব বিষয়েই পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা আছে বলে জানা গেছে। দৈনিক একটি বিষয়ে পরীক্ষা রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শেষে এ ব্যাপারে বোর্ডগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করা হলে এই ব্যাচ ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তাই পরীক্ষাই নেয়া হবে। বিস্তারিত পরিকল্পনা আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে দুটি বিকল্প চিন্তা করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, প্রতি বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর কমানো হবে। সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেগুলোয় এমসিকিউ ও সৃজনশীল উভয় অংশের পূর্ণমাণ থেকে ৫০ শতাংশ করে কমানো হবে। আর যেগুলোয় ব্যবহারিক আছে সেগুলোয় ব্যবহারিক নম্বর ঠিক রেখে অবশিষ্ট অংশের (এমসিকিউ ও সৃজনশীল) নম্বর সমন্বয় করে পূর্ণ নম্বর ৫০ শতাংশ কমানো হবে।

অন্য প্রস্তাবে শুধু এমসিকিউ কিংবা সৃজনশীল অংশের যে কোনো একটির পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি আছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যবহারিকের নম্বর ঠিক রেখে বাকি অংশের নম্বর সমন্বয়ের চিন্তা আছে। আর করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ কলেজকে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়ার প্রস্তাবও আছে।


সর্বশেষ সংবাদ