শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনী কতদিনের মধ্যে, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ PM
বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে তোড়জোড় শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য বদলি নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে নীতিমালা সংশোধনের কাজ শেষ করা হবে। এরপর নীতিমালা জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) অনুষ্ঠিত কর্মশালায় নীতিমালা সংশোধনের এ সময়সীমার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান, মাউমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর বি. এম. আব্দুল হান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলী, মাউশির উপ-পরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী, সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম মোসলেম উদ্দিনসহ টেলিটক এবং এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার একটি সূত্র জানিয়েছে, বদলি নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে চাপে রয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় দ্রুত বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত করার তাগাদা এসেছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ নীতিমালা চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে কর্মশালায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর টেলিটক সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু করবে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করে টেলিটকের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজ জেলায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের চেয়ে নিজ জেলা থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে চাকরি করা শিক্ষকদের বদলি বেশি জরুরি। যারা নিজ জেলায় কর্মরত তাদের বদলির সুযোগ দিলে বদলি নিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এমপি-মন্ত্রীর সুপারিশের হিড়িক পড়ে যাবে। নিজ জেলার ভালো প্রতিষ্ঠানে বদলির জন্য নানা অনিয়ম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এজন্য নিজ জেলায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলির আওতায় না আনার ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেছেন। শিগগিরই বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। তখন বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্মশালায় টেলিটকের মাধ্যমে বদলি সফটওয়্যার তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সফটওয়্যার তৈরিতে আমাদের কাছে টেলিটকের কী কী সহযোগিতা দরকার সে বিষয়ে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তারা সফটওয়্যার কীভাবে তৈরি করবে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা নিয়োগ পেলেও দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে থেকে যান, যা শিক্ষকতা পেশার বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বদলির সুযোগ চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এক দফায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দফায় ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বদলির সুযোগ দাবি করে আদালতে রিট করলে আবারও এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলির সুযোগের। জানা গেছে, এ কর্মশালার পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি শুরুর বিষয়ে বলা যাবে।