৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশে শিক্ষা সচিবের অনুমোদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩৭ PM , আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩৩ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে সুপারিশের অনুমোদন দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মজিবর রহমান। এখন শিক্ষা উপদেষ্টার অনুমোদন হলে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার পর শিক্ষা সচিব পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে সুপারিশের অনুমোদন দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘নিয়োগ সুপারিশ করতে এনটিআরসিএকে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয় না। তবে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগ সুপারিশ করতে হলে অনুমোদন লাগে। সেই অনুমোদন নিতে একটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান। আবেদনে শিক্ষা সচিব (রুটিন দায়িত্ব) অনুমোদন দিয়েছেন। এখন এটা শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরে যাবে। সেখান থেকে অনুমোদন হওয়ার পর এনটিআরসিএ নিয়োগ সুপারিশ করবে।’
এদিকে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে ৪১ হাজারের অধিক প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করার আবেদন করেছে এনটিআরসিএ। বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৪১ হাজারের অধিক প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এ বিষয়ে সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সুপারিশের আগে কতজনকে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে সেটি বলা ঠিক হবে না। খুব দ্রুতই নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।’
গত ১৬ জুন লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনগ্রহণ শুরু হয় গত ২২ জুন। যা চলে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল ১৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৭ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।
অথচ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে—স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা। সে হিসেবে প্রায় অর্ধেকের মতো পদ ফাঁকাই থেকে যাবে।