তিন কারণে ৩৫ ঊর্ধ্বদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৭:০৯ PM , আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ PM
শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ অর্জনকারী ৩৫ ঊর্ধ্বদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডেকেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। তবে আদালতের দুটি রিভিউ রায় এবং একটি মডিফিকেশন জনিত জটিলতার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ সভা শেষ হয়েছে। এর ফলে নিবন্ধনধারী ৩৫ ঊর্ধ্বদের বিষয়টি ঝুলে গেল।
রোববার (০১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে সভা শুরু হয়। ৫টা ১০ মিনিটে এ সভা শেষ হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব মো: মিজানুর রহমান, যুগ্মসচিব মো. হেলালুজ্জামান সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব দীপায়ন দাস শুভসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৩৫ ঊর্ধ্বদের নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আদালতে দুটি রিভিউ রায় রয়েছে। এই রায় এবং একটি রায় মডিফিকেশন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ তিনটি বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ দেখা হবে। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতদের বিষয়ে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হলো না, ‘এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, ‘আজকের সভা কোনো একক ব্যাচের জন্য নয়। সব নিবন্ধনধারীদের জন্য সভা ডাকা হয়েছিল। ১৭তমদের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং এনটিআরসিএর চিঠি আমরা পেয়েছি। বিষয়টি সভায়ও বলা হয়েছে। তবে আদালতে একই ধরনের বিষয় রিভিউয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। যার ফলে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শীর্ষ এ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘১৮তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যেও অনেকের বয়স শেষ হয়ে গেছে বা যাবে। ফলে ১৭তমদের দিলে তাদেরও আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। ১৭তম এবং ১৮তমদের সনদের মেয়াদ রয়েছে। তাদের বয়সের ছাড় দরকার। আবার অনেক ব্যাচের সনদের মেয়াদ এবং বয়স দুই ক্ষেত্রেই ছাড় দরকার। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, এনটিআরসিএর সনদ অর্জনকারী ১-১২তম এবং ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীরা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনধারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ সভা ডাকা হয়েছিল। তবে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ সভা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।