বিতর্কের মুখে নতুন করে ফল প্রকাশ কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের

  © সংগৃহীত

মহামারি করোনাভাইরাস হানা দেয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবে উদ্ভুত পরিস্থিতে পরীক্ষা ছাড়াই ‘এ’ লেভেলের ফল প্রকাশ করে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু বিভিন্ন দেশে এই ফলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে।

সমালোচনার মুখে সেই ফলাফল পরিবর্তন করেছে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল। নতুন করে যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়ন শেষে নিজেদের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠান। গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত নতুন ফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেরন অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। নতুন ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন

গত ১১ আগস্ট বিশ্বব্যাপী চলতি বছরের জুন সিরিজের ফল প্রকাশ করে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল। তবে করোনার কারণে পরীক্ষা না নিয়ে বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের সহায়তায় গ্রেডিং প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছিল কেমব্রিজ। এক বিজ্ঞপ্তিতে কেমব্রিজ জানিয়েছিল, এক সঙ্গে ১৩৯টি দেশের চার হাজার স্কুলের নয় লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রেড ইস্যু করা হয়েছে।

এদিকে ফল প্রকাশের পর থেকেই সানিডেল, স্কলাস্টিকা, এসএফএক্স গ্রিন হেরাল্ড, টার্কিশ হোপ ইন্টারন্যাশনালসহ কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের অধীন দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আপত্তি উঠে ফল আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের অভিযোগের বিষয়ে কোন সদুত্তর পাচ্ছিলেন না স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

এমন অবস্থায় গত রবিবার গ্রিন রেলাল্ডসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সকাল থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘অধ্যক্ষের কাছে আমরা জানতে চাই আগের তুলনায় খারাপ ফল কেন হলো : আগের সিরিজে গ্রেড ‘এ’ থাকলে এখন কিভাবে ‘বি’ দেয়া হলো? আগের ‘বি’ থাকলে এখন কিসের ভিত্তিতে ‘সি’ দেয়া হলো। আবার অনেকের আগে ‘কি’ থাকলেও এখন কিভাবে ‘এ’ হলো? আমরা তাদের অভিযোগের সদুত্তর চাই।’

এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘আমার বাবাসহ তিনজন অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা কেবল এইটুকু জানতে পেরেছি, ১৮ আগস্ট ফলাফল নিয়ে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল কিছু একটা বক্তব্য জানাবে। হয়ত ফলাফলের বিরুদ্ধে আপীলের সুযোগ দেয়া হতে পারে। তবে তাও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। ডাউন গ্রেডের কারণে এখন আমিসহ অনেকে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতেই পারব না। কারণ সেখানে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতাও অনেকের থাকবে না। অথচ আগের ফল হিসেবেও এমন হওয়ার কথা ছিল না।’

গ্রিন হেরাল্ডের শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন, এ বছর ১২৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল ডাউন গ্রেড হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এ ধরনের ফল উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেকে আবেদন করতে পারবে না।


সর্বশেষ সংবাদ