এসএসসি পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক নির্ধারণে তথ্য এন্ট্রি শুরু ১৫ নভেম্বর

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড  © ফাইল ছবি

২০২৬ সালের মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক নির্ধারণের লক্ষ্যে অনলাইন তথ্য (e-TIF) এন্ট্রি, সংশোধন ও মুছে ফেলার কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ নভেম্বর। এ প্রক্রিয়া চলবে ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সৈয়দ আত্তারুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বোর্ডের আওতাধীন সরকারি, এমপিওভুক্ত ও বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে e-TIF পূরণ করতে হবে। এতে শিক্ষকরা প্রয়োজনীয় তথ্য সংযোজন, সংশোধন বা মুছে ফেলার সুযোগ পাবেন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, কিছু শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হয়েও e-TIF-এ সংশ্লিষ্ট কলামে নিজেদের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে উল্লেখ করছেন, যা গর্হিত অপরাধ। তাই যেসব শিক্ষক সৃজনশীল বা অন্যান্য বিষয়ে মাস্টার ট্রেইনার, তাদের প্রশিক্ষণ সনদের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।

এছাড়া শিক্ষকদের পরীক্ষার ফলাফলের কলামে এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক, মাস্টার্স, বি.এড, এম.এড বা পিএইচডি ডিগ্রির প্রাপ্ত বিভাগ, শ্রেণি বা জিপিএ উল্লেখ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সনদের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। ফার্স্ট জয়নিং-এর ক্ষেত্রে প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের তারিখ বা এমপিওভুক্তির তারিখ উল্লেখ করতে হবে, যাতে শিক্ষকতার প্রকৃত অভিজ্ঞতা নির্ণয় করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রত্যেক শিক্ষককে নিজের নামে সোনালী ব্যাংকের ১৩-সংখ্যার সচল হিসাব নম্বর এবং সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিতে হবে। নন-এমপিও, খণ্ডকালীন, অনিয়মিত বা অতিথি শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কিংবা অক্ষম ও গুরুতর অসুস্থ শিক্ষকদের তথ্য পূরণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের তথ্য সংযোজন করলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।

সবশেষে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, e-TIF পূরণের পর হার্ড কপিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে বোর্ড সেগুলো তলব করতে পারবে। e-TIF-এ কোনো তথ্য গোপন বা অসত্য সংযোজন করা হলে তার দায়ভার তথ্য অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানকেই বহন করতে হবে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে e-TIF তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত না হলে অনেক শিক্ষক পরীক্ষায় দায়িত্ব বণ্টনের সুযোগ হারাতে পারেন।


সর্বশেষ সংবাদ