কমবাইন্ড মিডিয়া সামিট: তরুণদের নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয় কমবাইন্ড মিডিয়া সামিট-২০২০
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয় কমবাইন্ড মিডিয়া সামিট-২০২০  © টিডিসি ফটো

মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ব নেতৃত্ব’ এই স্লোগান নিয়ে দেশ এবং দেশের বাইরে মিডিয়া ও তার গুরুত্বকে তুলে ধরতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী কমবাইন্ড মিডিয়া সামিট-২০২০। ন্যাশনাল নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের উদ্যাগে এই আয়োজনের ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সামিট শনিবার (২৫ জুলাই) শুরু হয়। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানসহ প্রতিদিন চারটি করে দশটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। আর এ সামিট শেষ হয় রবিবার। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের গণমাধ্যমের প্রতিবন্ধকতাসমূহ ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয় এই সামিটে।

শনিবার বিকেলে সামিটের উদ্বোধন করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা। সামিটে অংশ নেয় ১৫টি সংবাদপত্র, সাতটি টেলিভিশন ও তিনটি রেডিওর প্রতিনিধিরা। এছাড়াও অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকরা।

এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল বিশেষ চমক। অংশ নেন সমকাল পত্রিকার সম্পাদক মোস্তাফিজ শফী, সময় টিভির বার্তা প্রধান তুষার আব্দুল্লাহ, চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান ,দ্যা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, ইয়ুথ কার্নিভালের সিইও জনি শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।

মিডিয়া সামিটে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও মিডিয়ার পরবর্তী চ্যালেঞ্জসহ মিডিয়ার খুঁটিনাটি আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

মোস্তাফিজ শফী বলেন, ‘এরকম আয়োজন তরুণদের একত্র করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ তুষার আব্দুল্লাহ বলেন, ‘করোনা তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগ আমাদের নতুন করে আশা দেখাচ্ছে।’ দেশের তরুণদের সঙ্গে নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সবাই। মিডিয়াই পারে এই বিশ্বকে পরিবর্তন করতে, দেশকে শক্তিশালী করতে সে কথাও ব্যক্ত করেন তাঁরা। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে ছিলেন নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের সভাপতি লাব্বী আহসান।

এছাড়াও এই আয়োজনে স্পিকার হিসেবে ছিলেন শরিফুল হাসান (ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিক, দ্যা ডেইলি স্টার), মোহাম্মদ তাজদিন হাসান (হেড অফ মার্কেটিং, দ্যা ডেইলি স্টার) ও জাবেদ সুলতান পিয়াস (হেড অব ডিজিটাল বিজনেস, দৈনিক প্রথম আলো), এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সিইও বেনজির আবরারসহ প্রমুখ। প্রায় ২০ হাজার দর্শক বিভিন্ন সময়ে এই সামিটে অংশ নিয়ে নিজেদের মতামত জানান দেয়।

এই পুরো সামিটে সহযোগী হিসেবে ছিল বিডি অ্যাসিস্টেন্ট। এছাড়া সহযোগিতা করেছে আশোকা, অনন্যা ম্যাগাজিন এবং প্রজেক্ট ইশকুল। তাছাড়া ইউথ ইনগেজমেন্ট হিসেবে যুক্ত ছিল ইউথ কার্নিভাল, স্পাইক স্টোরি, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এবং স্মার্টিফিয়ার একাডেমি।


সর্বশেষ সংবাদ