সরকারি ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কন্টেন্ট তৈরি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ PM , আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১২ PM
সরকারি ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন ব্যবহার করে অনুমোদনহীনভাবে বাণিজ্যিক কন্টেন্ট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করলেও এ নিয়ে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট সাধারণত সরকারি কার্যক্রম, প্রশাসনিক তথ্য এবং নাগরিক সেবার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কালিহাতী পৌরসভার ওয়েবসাইটের একটি সাবডোমেইন ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করা হচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নিম্নোক্ত দুটি সাবডোমেইন ব্যবহার করে বিভিন্ন অননুমোদিত কন্টেন্ট তৈরি করা হচ্ছে:
(https://feedback.legislativediv.gov.bd/dwd/chrisean-rock-bailforum-create-topic) (https://seniorcitizen.kalihatipourashava.gov.bd/daily-star6/chrisean-rock-net-worth.html)
এই দুটি লিংকে ঢুকলে দেখা যায়, সেখানে ব্যক্তিগত ও বিনোদনমূলক কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে, এটি কোনোভাবেই সরকারি ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে সরকারি সার্ভারে এমন অননুমোদিত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কেন এ বিষয়ে অবগত নয়?
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর আওতায় সরকারি ওয়েবসাইট বা সাবডোমেইন ব্যবহার করে কোনো ধরনের অননুমোদিত কন্টেন্ট প্রচার বা সাইবার অপরাধ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তদন্ত শুরু হয়নি।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি ডোমেইন ও সাবডোমেইন ব্যবহারের নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। অনুমোদন ছাড়া এখানে কোনো কন্টেন্ট সংযুক্ত করা সাইবার নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হতে পারে। এই ধরনের অব্যবস্থাপনা থাকলে সরকারি ওয়েবসাইটগুলো সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে এবং সেখানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকিং বা তথ্যচুরির শিকার হতে পারে।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র অব্যবস্থাপনার বিষয় নয়, এটি প্রশাসনের ব্যর্থতারও প্রমাণ। একটি সরকারি ওয়েবসাইটে অনুমোদনহীন কন্টেন্ট কিভাবে যুক্ত হলো, তা অবশ্যই তদন্ত করা উচিত।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক শাহাদাত হুসেইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এটি পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা দেখেন। আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অন্যদিকে, কালিহাতী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ওয়েবসাইটের বিষয়টি আমাদের পৌরসভা আইসিটি বিভাগের একজন কর্মকর্তা দেখেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে সরকারি ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অননুমোদিত কন্টেন্ট তৈরি হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অবগত নয়? পৌরসভা এবং আইসিটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।