ড্রাইভে ফাইলের সংখ্যায় লাগাম গুগলের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২১ PM , আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২১ PM
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ব্যবহারকারীর ড্রাইভে এখন ফাইল তৈরির নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফলে, ব্যবহারকারী হয়তো কোনো বিশাল সিস্টেম ব্যাকআপ বা একাধিক ফাইল স্থানান্তরের বেলায় এটি ব্যবহার করতে নাও চাইতে পারেন। প্রযুক্তি-বিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকা গত ফেব্রুয়ারির কোনো এক সময় গুগল গোপনে ব্যবহারকারীর ফাইল তৈরির সংখ্যা বা ‘ক্রিয়েশন লিমিট’ ৫০ লাখ নির্ধারণ করার বিষয়টি জানতে পেরেছে বলে জানিয়েছে।
‘আরএ১৩’ নামে এক রেডিট ব্যবহারকারী অনুসন্ধান করে খুঁজে পেয়েছেন, ব্যক্তিগত (ওয়ান) ও ব্যবসায়িক (ওয়ার্কপ্লেস) ব্যবহারকারীরা সেই সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করে কোনো ফাইল সরাসরি আপলোডের চেষ্টা করলে তারা একটি ত্রুটির বার্তা পাবেন। তবে, শেয়ার করা ফাইলের বেলায় এই সর্বোচ্চ সীমা প্রযোজ্য নয়। এরই মধ্যে এটি চার লাখ ফাইলে সীমিত করেই রেখেছে গুগল।
গুগল বলছে, ফাইলে সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণ বিভিন্ন এমন ধরনের অপব্যবহার রোধ করা, যেগুলো ড্রাইভের ‘স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তায়’ ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে, এটি কোনো ড্রাইভের মোট ফাইল সংখ্যার সীমা নয়। কোম্পানি আরও যোগ করেছে, এই ব্যবস্থায় আক্রান্ত ব্যবহারকারীর সংখ্যা এতই কম হবে যে তা ধরার মতো নয়।
মূল সমস্যা হলো, ব্যবহারকারীর পরিশোধ করা স্টোরেজ শেষ হওয়ার আগে ফাইল সীমা অতিক্রমের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না। আরএ১৩’র অনুমান বলছে, দুই টেরাবাইটের ওয়ান অ্যাকাউন্ট থাকা ব্যবহারকারীরা এই সমস্যায় পড়তে পারেন, যদি ফাইলের গড় আকার চারশ কিলোবাইট বা এর কম হয়।
গুগল এক দিক দিয়ে ঠিক যে বেশিরভাগ লোকজনের বেলায় সম্ভবত এটা কোনো সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে, বিভিন্ন ক্লাউড ব্যাকআপ ভক্ত বা অ্যাপে ‘ছোট ফাইলের বন্যা’ তৈরি করা পেশাজীবীদের কাছে এটি সমস্যার কারণ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি-বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
এখন পর্যন্ত এই সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি জনসম্মুখে জানায়নি গুগল। কোম্পানির পণ্য বিষয়ক ও সাপোর্ট পেইজেও এমন কোন বিষয় উল্লেখ নেই। বিষয়টি জানার কোনো ব্যবস্থাও নেই। এর ফলে, ড্রাইভে বাড়তি ফাইলের জন্য জায়গা করে দিতে ঠিক কতগুলো ফাইল মুছে ফেলতে বা কমপ্রেস করতে হবে, সেই বিষয়টি অজানা। এই ধরনের স্বচ্ছতার অভাবে কিছু সংখ্যক ব্যবহারকারী নিজেদের ড্রাইভ লাইব্রেরি ছাঁটাই বা অনুরূপ বিধিনিষেধ না থাকা বিকল্প খুঁজছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।