দুই মাস পর আবারও ৩০ বিলিয়নের নিচে রিজার্ভ

ডলার
ডলার  © সংগৃহীত

ডলার সংকট মাথায় নিয়ে দেশের বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবারও নামলো ৩ হাজার কোটি (৩০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের নিচে। শুক্রবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ডলারে নামে, যা গত বুধবার ছিল ৩ হাজার ১১৬ কোটি ডলার। এর আগে গত মে মাসে দুইবার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। 

কারণ হিসেবে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) মে-জুন মাসের আমদানি দায় বাবদ ১০৯ কোটি ৬৭ লাখ ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। 

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি হয়। তবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়। আকুর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা। আকুর বাকি দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে দুই মাস পরপর লেনদেনের অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

আরও পড়ুন: ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী প্রতি সরকারের ব্যয় ৫ লাখ

উল্লেখ্য, গত মে মাসে দুইবার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। প্রথমবার ৭ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুকে ১১৮ কোটি ডলারের আমদানি বিল দেওয়ায়, আর পরেরবার ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভ কমে। এরপর বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার দেওয়া ঋণের অর্থ রিজার্ভে যুক্ত হয়। ফলে রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। 

দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এর পর ধারাবাহিকভাবে তা কমতে থাকে। দীর্ঘ সাত বছর পর গত মে মাসে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। তবে গত ২৬ জুন এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের ৫২ কোটি ডলারের ঋণ, জুনে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স ভালো প্রবৃদ্ধির ফলে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। যা আবারও কমল।


সর্বশেষ সংবাদ