কম মূল্যে পণ্য পাওয়া ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা হ্রাসের কারণ জানাল টিসিবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৫ PM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৫ PM
নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাকের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, চিনি, ছোলা এবং খেজুর বিক্রি করে। এই পণ্যগুলো সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ডিলারদের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। পূর্বে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি। কিন্তু এখন তা কমে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশে। বর্তমানে প্রায় ৪৭ লাখ কার্ড সক্রিয় রয়েছে এবং আরও ৫ থেকে ৬ লাখ কার্ড প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। ফলে টিসিবির পণ্য পাওয়ার জন্য ভোক্তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে হাহাকার।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব তথ্য জানায়।
কার্ড হ্রাসের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে টিসিবির তথ্য কর্মকর্তা যুগ্ম পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, এনআইডি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে অনেকেই বাদ পড়েছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অন্য এলাকার কার্ড ব্যবহৃত হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ছিল এবং অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে এনআইডির কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে কার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এই দায়িত্ব মূলত সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনের ওপর বর্তায়। তারা কার্ড বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে থাকে। আমাদের ভূমিকা শুধু ডিলারদের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দেওয়া। আমরা পণ্য সরবরাহের কাজটি সম্পন্ন করি। তবে কার্ড সম্পর্কিত কোনো দায়িত্ব বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
টিসিবিসূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ডিলার নেটওয়ার্ক রয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে পণ্য সরবরাহ করে। এই প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন নিজেই ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিতরণের কাজটি সম্পন্ন করে। নির্দিষ্ট পণ্য নির্দিষ্ট স্থানে বিক্রি হয়। শহরাঞ্চলে এই কাজটি সাধারণত সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ওয়ার্ড কমিশনারের অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আর জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস এই কাজে সহায়তা করে।
সূত্র আরও জানায়, কার্ড বিতরণের দায়িত্ব মূলত সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের ওপর। তারা যতটুকু তথ্য সম্প্রতি টিসিবির কাছে পাঠিয়েছিল, তার মধ্যে ৪৭ লাখের মতো কার্ড সক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫ থেকে ৬ লাখ কার্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অবশিষ্ট কোটা পূরণের জন্য সরকার সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনকেই দায়িত্ব দিয়েছে। তারাই এই কাজ সম্পন্ন করবে।