নুসরাত হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

  © টিডিসি ফটো

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানী ও অগ্নিসংযোগে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ’র ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময়  ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাতে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসাছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে, এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকাপরা ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।

অস্বীকৃতি জানালে তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

চিকিৎসকের সামনে পুলিশের জবানবন্দিতে নুসরাত জানায়, পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে তাকে কয়েকটি মুখোশ পরা মেয়ে ডেকে নিয়ে যায় এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নিতে বলে। নুসরাত তাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

গত ২৭শে মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলা করে নুসরাতের পরিবার। রাফিকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার আগে একই আদালত আসামী নুর হোসেন, কেফায়েত উল্লাহ, আলাউদ্দিন ও শহীদুল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে আটক উম্মে সুলতানা পপি (অধ্যক্ষের শ্যালিকার মেয়ে) এবং বুধবার সন্ধ্যায় মামলার এজাহারনামীয় আসামি যোবায়ের হোসেনকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের ওপর আজ শুনানি হবে।


সর্বশেষ সংবাদ