রোদ গরম উপেক্ষা করে অনশনে ডাকসুর চার পরাজিত প্রার্থী
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৩১ AM , আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১২:২৮ PM
তীব্র গরম অার রৌদ্রের মধ্যেই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরাজিত চার প্রার্থী। গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যে অনশন চালিয়ে আসা এ চার প্রার্থীর সাথে আজ বুধবার সকালে আরও দুজন যোগ দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
অনশনকারীরা হলেন- জগন্নাথ হল সংসদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অনিন্দ্য মন্ডল, শহীদুল্লাহ হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শোয়েব মাহমুদ, মুহসীন হল সংসদের সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. মাঈন উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সংসদের ছাত্র পরিবহন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাওহীদ তানজীম। এছাড়া রাফিয়া ও আল মামুন তাহা নামে আরও দুজন আজ সকালে তাদের সাথে যোগ দেন।
ভুতত্ব বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আল মামুন তাহা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের বর্তমান দাবি, এই নির্বাচন বাতিল করতে হবে। পুনরায় নির্বাচন তফসিল ঘোষনা করতে হবে। যারা এই ভোট জালিয়াতের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে মিডিয়ার সামনে স্বীকার উক্তি দিতে হবে। না হলে আমরা আমরন অনশন চালিয়ো যাব।’
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র তাওহিদ তানজিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যালট নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল নির্বাচনের দিন সকালে। কিন্তু নিবার্চনের আগের দিন রাতে ব্যালট হলে চলে গেছে। যার কারনে ঐ রাতেই ব্যালটের কারচুপি হয়েছে। এস এম হল, এফ রহমান হলে গেইট লাগিয়ে দিয়েছে, ভিতরে ডুকতে দেয়নি। প্রতিটি হলে অনাবাসিকদের ভোট দিতে দেওয়া হইল না। এই ভন্ডামির নির্বাচন অামরা বর্জন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন এই দায় স্বীকার না করছে, আমরা আমরণ অনশন করে যাব।’
গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী রাফিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়নি, এটা সবাই জানে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা অনশন করছি। আমাদের দাবি, এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে পুনঃনির্বাচন দেওয়া হোক। নির্বাচনের কারচুপির সাথে যারা জড়িত ব্যক্তি তাদের শাস্তির অাওতায় অানা হোক।’
অনশনকারীরা জানিয়েছেন, তারা অনিয়ম, কারচুপি ও পাতানো নির্বাচনের প্রতিবাদে অনশন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় নির্বাচনের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের এই অনশনে যোগ দেবেন বলেও আশা করছেন তারা।