৩০০ দলের আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ট্যাব ডিরেক্টর ঢাবির মুহিব
- সিয়াম হাসান
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২০ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৪ PM
আফ্রিকান ডিবেট ফোস্টার আয়োজিত ৩০০ দলের আন্তর্জাতিক বির্তক প্রতিযোগিতায় ডাক পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ খাঁন মুহিব। আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় কাম্পালা ওপেন-২০২৪ এ একমাত্র বাংলাদেশি ট্যাব ডিরেক্টর থাকবেন তিনি।
মুহিব বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মূল ইসি ২০২২-২৩ কার্যনির্বাহী পরিষদে উপ-প্রচার সম্পাদক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ডিবেটিং ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক স্টাডিজ ডিবেটিং ক্লাবের প্রোগ্রাম সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ঢাবিসহ দেশে আয়োজিত বিভিন্ন বির্তক প্রতিযোগিতায় ট্যাব ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বির্তক প্রতিযোগিতায় তিনি আমন্ত্রিত বিচারক হিসেবেও ডাক পেয়েছেন কয়েকবার। তবে এবার প্রথম তিনি ৩০০ দলের বিশাল আয়োজনের আন্তর্জাতিক কোন বির্তক প্রতিযোগিতায় ট্যাব ডিরেক্টর হিসেবে ডাক পেয়েছেন।বাংলাদেশী হিসেবে তিনি কাম্পালাতে প্রথম ট্যাব ডিরেক্টর হচ্ছেন।
মুহিব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শুধু কাম্পালা ওপেনে নয় ভবিষ্যতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমাকে ট্যাব ডিরেক্টর হিসেবে দেখা যাবে। আমি একদিন বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে যেতে চাই, যেখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ থাকবে। তাদের সামনে গিয়ে বলতে চাই, আমি বাংলাদেশ থেকে মুহিব বলছি।
তিনি জানান, বিতর্ক দেশ-বিদেশে সমাদৃত সবচেয়ে সমাদৃত এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিসের নাম। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রতি বছর দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা নানান বিষয় নিয়ে যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে প্রমাণ করতে আসেন তার দলই সেরা। এমন প্রতিযোগিতা অত্যন্ত সম্মানজনক। এতে দেশ-বিদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লড়াই করে। ঠিক তেমনই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়গুলো ততটাই দুর্লভ।
যেকোনও আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা পরিচালিত হয় টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর, চিফ অ্যাডজুডিকেটর, ট্যাব ডিরেক্টর এবং ইকুইটি অফিসারদের সমন্বিত প্যানেলের মাধ্যমে। একজন টুর্নামেন্ট ডিরেক্টরের দায়িত্ব পুরো টুর্নামেন্ট আহবান করাসহ সব বিভাগের সমন্বয় করা। চিফ অ্যাডজুডিকেটররা টুর্নামেন্টটির সব বিচারকদের প্রধান এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
আরো পড়ুন: বিসিএসকে স্বপ্ন বানানোর আগে তিন প্রশ্নের জবাব খুঁজুন
ট্যাব ডিরেক্টররা টুর্নামেন্টটির ম্যাচ আপ, র্যাংকিং, পার্টিসিপেশন এলিজিবিলিটিসহ পুরো টুর্নামেন্ট সময়মতো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে ইকুইটি অফিসাররা টুর্নামেন্টে পুলিশ অফিসারের মতো কাজ করেন। তারা নিশ্চিত করেন যাতে কারো প্রতি কোন প্রকার অন্যায় না হয়।
কাম্পালা ওপেনের ১৩ জনের পরিচালনা পর্ষদে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন মুহিব। টুর্নামেন্টটিতে ৩০০ দল নিয়ে ডিবেট সেগমেন্ট, ২০০ স্লট নিয়ে পাবলিক স্পিকিং সেগমেন্ট এবং বিভিন্ন ট্রেনিং ক্যাম্পও পরিচালনা কর হবে। প্রতিযোগী, বিচারক, আয়োজক প্যানেলসহ প্রায় এক হাজার মানুষের বিশাল এ মহাযজ্ঞে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন মুহিব।