কলেজ অধ্যক্ষ-প্রভাষকের বাগ‌বিতণ্ডার ভি‌ডিও ভাইরাল

  © সংগৃহীত

বরিশাল সিটি কলেজের প্রভাষক ও অধ্যক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে অধ্যক্ষকে প্রভাষকের গালমন্দ নিয়ে চলছে সমালোচনা। গত ১২ এপ্রিল কলেজের প্রভাষক কাওছার হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথের ম‌ধ্যে এ ঘটনা ঘ‌টে।

সাড়ে ৬ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলেজের অফিসকক্ষে তালা দেন প্রভাষক কাওছার। আর অধ্যক্ষকে বলতে শোনা যায়, সেসব ঘটনার দায়ভার তার নয়।

অধ্যক্ষ সুজিত ভিডিওতে বলেন, কলেজের এক টাকাও ব্যাংকে রাখা হয়। কয়েকজন স্যার সহকা‌রী অধ্যাপক হইতে পারে নাই। তাই তাদের অস্থিরতা। বিষয়টাকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করছে। শুধু শুধু এ সব কথা বলে লাভ নাই তো। সেটা সত্য ঘটনা। সার্টিফিকেটে ভুল, ডিসি স্যার তাই সহকারী অধ্যাপক করেননি। এখন সেইটি কি দায় আমার?

প্রতি উত্তরে প্রভাষক কাওছার তাকে চাঁদাবাজ বলে অভিহিত করেন। অধ্যক্ষ তখন তাকে অভিযোগগুলো নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে যেতে বললে প্রভাষক বলেন, আমার ডিসিরে পাওয়া লাগবে না, আমরা ৬ মাস বইয়া ডিসিরে পাই না। আপনে প্রতি রাইতেই ডিসিরে পান। তাইলে এটা কী করে সম্ভব।

‘অধ্যক্ষ লাখ লাখ টাকার দুর্নীতি করে পকেট ভরেন। শিক্ষকদের কিছু দেয়। উল্টো নিয়মিত শিক্ষকদের বিপদে ফেলে তার বগলস্থ করতে চায়। তাদের একের পর এক শাস্তি, থেরেট দিচ্ছে। কলেজের পিওনের সঙ্গে অধ্যক্ষ পার্টনার। নিজে লুইট্টাপুইট্টা খাও, আর মিথ্যা অভিযোগ দেও। তুই অসভ্য, তুই যাবি কবরে, আর আমি যামু জেলে।’

ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ বলেন, কাওছার অনৈতিক কাজ করে। আচরণ খারাপ করেছে। ওর অভিযোগ থাকলে সে ডিসিকে বলতে পারত। উল্টো অফিসকক্ষে তালা মেরেছে কাওছার। ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ওর আচারণের কথা গভ‌র্নিং বডির মিটিংয়ে তুলব আ‌মি।

কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কাওসার হোসেন বলেন, বেসরকারি একটি কলেজে ৩ মাস পর পর অডিট হওয়ার বিধান রয়েছে, কিন্তু অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দায়িত্ব পালন করছেন ৭ বছর। এখন পর্যন্ত কলেজে কোনো অডিট হয়নি।

‘সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অফিস করে নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন অধ্যক্ষ সুজিত। শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করেন। এ সব বিষয়ে জবাব চাইতে গেলে এই ভিডিও সাংবা‌দিক‌দের মাধ‌্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।’

এ বিষয়ে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত করে আমি দেখব। এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত, তাদের নোটিশ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ