যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বান্ধবীর বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর মামলা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২২, ১১:১৩ AM , আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২২, ১১:৩৪ AM
বরিশালে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই স্কুলছাত্রীর বান্ধবীসহ আটজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন- ওই স্কুলছাত্রীর সহপাঠী সাবিকুন নাহার শশী ও শশীর মা ফাতেমা খানম চম্পা, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মতাসা এলাকার তাওসিফ মাহমুদ স্বাধীন ও আসাদ ইসলাম।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই ছাত্রী ও অভিযুক্ত শশী একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নগরীর পেশকার বাড়ি এলাকাতে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তেন তারা। গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে শশীকে ডাকতে শশীর বাসায় যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী তার সহপাঠী শশী ও এই মামলার আরেক আসামি আসাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, শশী বিষয়টি কাউকে না জানাতে ওই স্কুলছাত্রীকে অনুরোধ করেন। এ ঘটনার পর থেকে শশী পরিকল্পিতভাবে কয়েকজন বখাটেকে দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে নিপীড়ন ও রাস্তাঘাটে আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করানো শুরু করেন।
আরও পড়ুন : পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে ডাস্টবিন বানালেন ববি শিক্ষার্থী
মামলার এজাহারের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১১ আগস্ট সকালে অভিযুক্তরা বিদ্যালয়ের লাগোয়া মল্লিক রোডে ওই স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করে। এছাড়া সবশেষ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই স্কুলছাত্রীকে স্কুলের ভেতরে পুকুরপাড়ে ডেকে নিয়ে মারধর করেন ও ওই স্কুলছাত্রীর বিরুদ্ধে নানান ধরনের অপপ্রচার চালান।
পুলিশ জানিয়েছে, এইসব ঘটনার পর ওই স্কুলছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত সাবিকুন নাহার শশী ও তার মা ফাতেমা খানম চম্পা অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ফাতেমা খানম জানান, ওই স্কুলছাত্রী আমার মেয়ে শশীর ক্ষতি করতে আমার মেয়ের ছবি ও মুঠোফোন নম্বর বিভিন্ন জনকে দিয়েছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওই স্কুলছাত্রী আমাকে গালমন্দ করেছে।
সাবিকুন নাহার শশী জানান, মুঠোফোনে মাকে অপমান করার কারণ জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আঘাত করে। এ জন্য আমি তাকে একটা থাপ্পড় দিয়েছি। এখন আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করতে সে এসব অভিযোগ করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন জানান, ওই শিক্ষার্থীর বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে ওই শিক্ষার্থীর এক সহপাঠী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্ত ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ওই ছাত্রীর মা থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।