‘ধর্ষণের ঘটনা লুকাতেই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় দিহান’

মূল অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহান এবং হাসপাতালে যেতে ব্যবহৃত গাড়ি
মূল অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহান এবং হাসপাতালে যেতে ব্যবহৃত গাড়ি  © সংগৃহীত

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতেই নিহতের বাবা বাদী হয়ে প্রেমিক দাবিকারী ইফতেখার ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি করেন। গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগানের ডলফিন গলির একটি বাসায় নিয়ে ওই কিশোরীকে (১৮)  ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে জানা যায়

আজ শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবুল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের ভূমিকা কী ছিল জানার চেষ্টা করেছি। যদি তারা জড়িত হয় তাহলে মামলায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নিরাপরাধ হলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বের হয়েছিল। এ মামলার একমাত্র আসামি আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অফিস থেকে বের হয়ে ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশের এসি আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই তরুণ দাবি করেছে, মেয়েটি তাঁর পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই রাজধানীর বাইরে থাকায় তাকে ডলফিন গলির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’


সর্বশেষ সংবাদ