পাঠাওয়ের ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেফতার

  © ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়কে পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘটনার তদন্ত করে গোয়েন্দারা জানিয়েছে, পেশাদার খুনির হাতেই খুন হন তিনি। তাদের ধারণা, খুনির পরনে ছিল কালো পোশাক। এছাড়া মুখে কালো মাস্ক ছিল।

তারা জানান, ফাহিম সালেহর পিছু নিয়ে লিফটে চড়ে তিনি ম্যানহাটানের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। নিউইয়র্ক পুলিশের তদন্তকারীরা তার অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালিয়ে আলামত সংগ্রহের পর বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। আশপাশের রাস্তা ও ভবনে যেসব সিসি ক্যামেরা আছে, সেগুলোর ভিডিও ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।

ফাহিমের স্বজনরা বলছেন, ঘাতক কীভাবে পালালো তা জানতে হবে। তদন্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ফাহিমকে হত্যার পর মরদেহ সুটকেসে ভরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল খুনির। তবে খুনির কাজ শেষ হওয়ার আগেই অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার জন্য কেউ কলিং বেল চেপেছিলেন। সে শব্দেই ঘাতক পেছনের দরজা ও সিঁড়ি ব্যবহার করে পালিয়ে যায়।

ব্যবসায়িক কারণেই হত্যা বলে আপাতত ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফাহিমের বিরুদ্ধে নিউজার্সির এক কারাকর্মীর মামলা চলমান ছিল। ফাহিমের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ক্রিক ইডি নামে ওই ব্যক্তি প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে আসেন।

তার ভাষ্য, ফাহিমের তৈরি প্র্যাঙ্কডায়াল অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি ভেবেছিলেন, তিনি যা করছেন, তা বৈধ। এর আগে সোমবার (১৩ জুলাই) ১০ তলার ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সপ্তম তলায় ফেরেন ফাহিম। পরদিন মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ফাহিমকে না পেয়ে তার খালাতো বোন ছুটে যান ওই ভবনে। এরপর অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে আঁতকে ওঠেন তার খণ্ড-বিখণ্ড লাশ পলিথিন ব্যাগে দেখে। পরে ৯১১ এ কল করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ