সেই স্কুলছাত্রীর কাটা মাথা উদ্ধার, ঘাতক গ্রেফতার

  © সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে স্কুলছাত্রী শারমিন আক্তার কাকলীর বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ধারালো চাকুও। ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ভয়ঙ্কর এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা। এর আগে বুধবার উপজেলার মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম অক্সফোর্ড একাডেমি নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার কাকলীর মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ২৮ মার্চ শারমিন আক্তার কাকলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় সাবেক প্রেমিক ও সহপাঠী সাইফ উদ্দিন। অক্সফোর্ড একাডেমিতে হাজির ছিল কাকলীর নতুন প্রেমিকও। এসময় তারা দুজনে মিলে কাকলীকে গলা কেটে হত্যা করে।

পরে কাকলীর বিচ্ছিন্ন মাথা প্রায় এক হাজার গজ দুরের ডোবায় ফেলে দেয়। ঘটনার পর নতুন প্রেমিক গা ঢাকা দিলেও সাইফ উদ্দিন সুজাতপুর গ্রামে নিজ বাড়িতেই থেকে যায়। তবে বুধবার কাকলীর লাশ উদ্ধারের পর গা ঢাকা দিয়ে সে আশ্রয় নেয় নানার বাড়িতে।

জানা গেছে, কাকলীর ব্যবহৃত ফোনের সূত্র ধরে তার সহপাঠী সাইফ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা ও হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যাওয়া অপর কিশোরকেও খুঁজছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তরের পূর্ব ইসলামাবাদ গ্রামের প্রবাসী বজলু বেপারীর বড় মেয়ে শারমিন আক্তার কাকলী। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুজাতপুর গ্রামের রাসেল আহমেদের ছেলে সাইফ উদ্দিনের। এরই মাঝে কাকলী সাইফ উদ্দিনকে বাদ দিয়ে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে রাজমিস্ত্রির কাজে আসা রাজশাহীর এক কিশোরের সঙ্গে।

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সাইফ ওই কিশোরের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। মূলত ব্যর্থ প্রেমের প্রতিশোধ নিতে দুজনের মাঝে এই সখ্যতা তৈরি হয়।

ওসি নাসির উদ্দিন জানান, পুলিশের তিনটি টিম হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটন ও দ্রুত হত্যার প্রকৃত রহস্য বের করে। সাইফ উদ্দিন কাকলী হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। রাজশাহীর ওই কিশোর গা ঢাকা দিলে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ