ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণে যুবলীগের শীর্ষ ৭ নেতা

ঢাকায় ৬০টি ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রক ২৫ জনের নাম বলেছেন রিমান্ডে থাকা ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া। এদের মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদকারী পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদ যাদের নাম বলেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমান, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম সোহেল, বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ইমরানসহ ২৫ জন।

খালেদ ছাড়াও রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে যুবলীগ নেতা দাবিকারী জি কে শামীম ও ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে। গতকাল সোমবার তাদেরকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ক্যাসিনোর পাশাপাশি গণপূর্তের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঠিক কত কোটি টাকা কামিয়েছেন জি কে শামীম ও যুবলীগ নেতা খালেদ, তার হিসাব নিতেই গোয়েন্দাদের আস্ত একটা নোটবুক শেষ হয়ে যাচ্ছে।

তারা এরই মধ্যে নামে বেনামে, স্বজনদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা শত শত কোটি টাকার তথ্য দিচ্ছে। এর মধ্যে জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে ৩০০ কোটি টাকার তথ্য। আর খালেদের শত কোটি টাকার ওপরে।

সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলছেন, যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের কোন কোন নেতা তাদের টাকার ভাগ পেতেন।


সর্বশেষ সংবাদ