‘জুতা’ নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় সহপাঠীকে পিটিয়ে হত্যা (ভিডিও)

  © টিডিসি ফটো

জুতা নিয়ে বিরোধের জেরে সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক প্রশিক্ষণার্থীকে সহপাঠী কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমার আলমপুরস্থ সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে হামলার শিকার হন তিনি। মোগলাবাজার থানার ওসি আখতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হামলায় নিহত তানভীর হোসেন তুহিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। একই ট্রেডের শিক্ষার্থী কামরান ও তার সহযোগীদের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।

সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তার অবস্থা অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। সন্ধ্যা ৬টায় দিকে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকালে তুহিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে তার জুতা রেখে কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে তুহিন কম্পিউটার ল্যাব থেকে বের হয়ে দেখে তার জুতা নেই। কিছুক্ষণ পর সে দেখতে পায় তার হারানো জুতা জোড়া অন্য একজন প্রশিক্ষণার্থীর পায়ে দেখতে তার বলে দাবি করে। এসময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পরপরই ওই সহপাঠীর সঙ্গে থাকা কয়েক শিক্ষার্থী কাঠের টুকরো নিয়ে তুহিনের ওপর হামলা চালায়।

সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লা মোল্লা বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। সকালে দুই ছাত্রের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে একজনকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। হামলার খবর পেয়ে আমাদের শিক্ষকরা আহত ছাত্ররা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, ‘সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তানভীর হোসেন তুহিনের সাথে জুতা নিয়ে অন্য এক প্রশিক্ষণার্থী কামরানের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে কামরান কয়েকজনকে সাথে নিয়ে তুহিনের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনা কদমতলী এলাকার আব্দুল আলীম এর ছেলে আবু কুদরত তায়েফকে আটক করা হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ