মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্যে লুট হচ্ছে ফসলি জমির টপসয়েল, নিশ্চুপ প্রশাসন

তোলা হচ্ছে কৃষি জমির টপসয়েল
তোলা হচ্ছে কৃষি জমির টপসয়েল  © সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলাব্যাপী নির্বিচারে ফসলি জমির টপসয়েল লুটপাট চলছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর বিধান অনুযায়ী এমনটা দন্ডনীয় অপরাধ এবং ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা আইন ২০২৩ অনুযায়ী উক্ত অপরাধে ২ থেকে ৭ বছরের জেল জরিমানার বিধান থাকলেও রামগঞ্জে এমন বিধানের প্রয়োগ হচ্ছেনা। ফলে একটি কুচক্রী মাটি খেকো মহল রাতে দিনে সমান তালে ফসলী জমির টপসয়েল লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে রামগঞ্জ ব্যাপী দেখা দিয়েছে গণঅসস্তোষ।

সড়জমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের আকারতমা, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শেপালীপাড়া, ইছাপুর ইউনিয়নের শিবপুর, সোন্দড়া, রাঘবপুর, শ্রীরামপুর, চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেপুর সহ পৌরসভার বিভিন্নস্থানে প্রত্যক্ষভাবে লুট হচ্ছে ফসলি জমির টপসয়েল। নিষিদ্ধ বাহন ট্রলি দিয়ে ওই টপসয়েল আনা-নেওয়া করায় এবড়ো-থেবড়ো হয়ে পড়ছে আশে পাশের কৃষকদের আবাদি ভূমি। মাটিখেকো চক্র অত্যান্ত প্রভাবশালী। যে কোন সরকারের আমলেই এদের দাপট থাকে সমানে সমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইছাপুর ইউনিয়নের একজন কৃষক জানান, কামাল হোসেন নামের একজন মেম্বার মাটি খেকো চক্রের সাথে জড়িত। এছাড়াও দেলোয়ার, লিটন, চন্ডিপুরের ফিরোজ আলম, পৌরসভার মানিক, রুবেল, ভোলাকোটে সোহাগ গং মাটিখেকো চক্রের সক্রিয় সদস্য। এরা ফসলি মাঠের মাঝপ্রান্তে ভেকু মেশিন বসিয়ে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর গর্ত করে মাটি নিয়ে যায়। তাদের রয়েছে নিজস্ব ট্রলি। সূত্রমতে রামগঞ্জব্যাপী নিষিদ্ধ সংখ্যা প্রায় ৪শতাধিক।

এব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারাশিদ বিন এনাম জানান, এমন অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সম্প্রতি মাটিখেকো চক্রের এক সদস্যকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভূক্তভোগী কৃষকমহল কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রশাষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!