এক দশক পর জামায়াত কর্মীর মরদেহ উত্তোলন
- গাইবান্ধা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৩ AM
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক দশক পর শাহাবুল ইসলামের দেহাবশেষ উত্তোলন করা। ২০১৪ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নিহত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শাহাবুল ইসলামের মরদেহ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর ) আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের নেজারত শাখার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদের তত্ত্বাবধানে থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল এই কাজ সম্পন্ন করে।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল লতিফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লাশের অংশ বিশেষ তুলে থানায় আনা হয়েছে এবং তা ফরেনসিক টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই পরীক্ষার ফলাফল মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বামনডাঙ্গার মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার সাড়ে দশ বছর পর ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে মোট ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
গত জানুয়ারি মাসে এই মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদার ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মারুফ হোসেন বাদলকে কারাগারে পাঠানো হয়। গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেহাবশেষ উত্তোলনের এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং নিহতের পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলার তদন্তে গতি সঞ্চার হবে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলমান অবস্থায় রয়েছে।