ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার,অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক

ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি
ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি  © টিডিসি ফটো

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে নির্মমভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কৃষকের বিরুদ্ধে। ছাগল আনতে গিয়ে মাঠেই এই বর্বরোচিত হামলার শিকার হন সাত সন্তানের এই মা। ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের একটি কৃষি জমিতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধা বাড়ির পাশের মাঠে ছাগল আনতে গেলে একই গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী(৪৫) তাকে একা পেয়ে ফাঁদে ফেলেন। স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের বরাতে জানা যায়, আইয়ুব বৃদ্ধার হাত-পা ও মুখ বেঁধে পাশের একটি হলুদের জমিতে টেনে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

ঘটনার পর বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. কানিজ ফাতেমা মনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃদ্ধাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আইয়ুব আলী এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, আইয়ুব আলী পেশায় কৃষক এবং দুই সন্তানের বাবা। তার বিরুদ্ধে আগেও অনৈতিক কাজের অভিযোগ ছিল বলে এলাকাবাসী দাবি করেন। তারা অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ স্বপন কুমার সরকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্ত আইয়ুব আলী পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজ উদ্দীন খন্দকার বলেন, ভুক্তভোগীর স্বজনরা এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। তারা এখন চিকিৎসায় ব্যস্ত। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ